টুডে সিলেট ডেস্ক:: আবারও সরব হয়ে উঠেছে বন্যার পর কোটা সংস্কার আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়া সিলেটের সবগুলো স্থলবন্দর ও শুল্কস্টেশন। এ অবস্থায় খুশি ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা।
রোববার (২৮ জুলাই) সরেজমিনে তামাবিল স্থলবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, স্থলবন্দর জুড়ে কর্মচঞ্চলতা বিরাজ করছে। একের পর এক ঢুকছে ট্রাক। পাথরভর্তি ভারতীয় ট্রাক তামাবিল স্থলবন্দরে মালামাল খালাস করে ফিরে যাচ্ছে।
জানা গেছে, সপ্তাহের ছয়দিন এমন কর্মব্যস্ত থাকে এ বন্দর। কিন্তু মে মাসের শেষের বন্যায় বন্দর এলাকা ডুবে যায়। বন্ধ থাকে আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়া। আন্তর্জাতিক যাত্রী যাওয়া-আসাও বন্ধ থাকে। বন্যা পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি হলে সব স্বাভাবিক হয়ে যায়।
জুলাই মাসে শুরু হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। উত্তাল আন্দোলনের এক পর্যায় শাটডাউন ও জ্বালাপোড়াও কাণ্ডে সব স্তব্ধ হয়ে যায়। থেমে যায় আমদানি-রফতানি ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম। সেই অবস্থার উন্নতি ঘটেছে। দুদেশের যাত্রী যাওয়া আসা করছেন নির্বিঘ্নে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেটের শুল্ক স্টেশনসমূহ মূলত আমদানি নির্ভর। রফতানির পরিমাণ খুবই কম। ভারত থেকে প্রধানত কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি হয়। ভারতের মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে এসব পণ্য ট্রাকে করে তামাবিল স্থলবন্দর এবং জকিগঞ্জ ও শেওলা শুল্ক স্টেশনে এসে ট্রাক পরিবর্তন হয়ে সিলেটে প্রবেশ করে। এ ছাড়া ভোলাগঞ্জ, বড়ছড়া, জুড়ি ও চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়েও কয়লা, চুনাপাথর ও কাঁচামালসহ কিছু পণ্য আমদানি হয়।
এসব স্থলবন্দর এবং ১১টি শুল্ক স্টেশনে লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ করেন। স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকলে তারা মানবেতর জীবনযাপন করে থাকেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিকে খুশি শ্রমিকরা।
তামাবিল পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি জালাল উদ্দিন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে আমদানী-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে, এর জন্য ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা এখন খুশি।
তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর এবং ভোলাগঞ্জ, জকিগঞ্জ, ছাতক, চাতলাপুর, বাল্লা, জুড়ি, চেলা, বড়ছড়া, চারাগাঁও, বাগলী ও ইছামতি শুল্কস্টেশন থেকে সরকার প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকে।
Editor-in-Chief and Publisher: Mohammed Imran Ali, Executive Editor: Ahmed Ferdous Shakar, News Editor: Ahia Ahmed. E-mail: news.todaysylhet24@gimal.com
www.todaysylhet.com