নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে তীব্র গরমের সঙ্গে হয়েছে লোডশেডিং। প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং এ ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরে ও শহরতলী এলাকার মানুষ। তবে পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সিলেট শহর ও গ্রামাঞ্চলে ঘণ্টায় ঘণ্টায় গত এক মাস থেকে লোডশেডিং হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন সাধারন মানুষ। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসে নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা। এজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে সিলেটে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকলেও শ্রাবণের খরতাপে পুড়ছে সিলেট। রোদে বেরোলেই যেন শরীরে লাগছে আগুনের হলকা, পুড়ছে চামড়া। এ অবস্থায় বেশি কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ করে রিকশা-ভ্যান চালক বা দিনমজুররা তীব্র গরমে করছেন হাঁসফাঁস।
সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সুত্র জানিয়েছে, আজ সোমবার (২৯ জুলাই) সারাদিনে বিকেল ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে চাহিদা ছিলো ২১১ মেগাওয়াট। বিপরীতে সরবরাহ হয়েছে ১৭৬ মেগাওয়াট। আর লোডশেডিং হয়েছে ৩৫ মেগাওয়াট। সিলেট জেলায় চাহিদা ছিলো ১২৪ মেগাওয়াট। বিপরীতে সরবরাহ হয়েছে ১০২ মেগাওয়াট। আর লোডশেডিং হয়েছে ২১ মেগাওয়াট।
নগরীর আম্বরখানা এলাকার জয়নাল আবেদীন বলেন, বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার কারণে ঠিক মতো কোন কাজ করা যাচ্ছে না। কিন্তু দিনরাত সমানভাবে ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং হচ্ছে। সকাল থেকে কিছু সময় পর পরই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।
সিলেট নগরের উপশহর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা জিবান আহমদ জানান, গরমে চরম ভোগান্তির মধ্যে বিদ্যুৎ নেই। গত এক মাস থেকে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। আজ তো সকাল থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত সাতবার বিদ্যুৎ চলে গেল। এজন্য বাসায় পানি সংকটও তৈরী হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অফিসের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু হোসাইন সিলেটভিউকে বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে।
Editor-in-Chief and Publisher: Mohammed Imran Ali, Executive Editor: Ahmed Ferdous Shakar, News Editor: Ahia Ahmed. E-mail: news.todaysylhet24@gimal.com
www.todaysylhet.com