স্পোর্টস ডেস্ক :: ২০২৪ কোপা আমেরিকা জিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেছেন আর্জেন্টাইন ফররোয়ার্ড আনহেল দি মারিয়া। তবে ক্লাব ফুটবল থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য ফিরতে চেয়েছিলেন শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে। এই ক্লাবের জার্সিতেই ফুটবলে যাত্রা শুরু হয়েছিল তার। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না একটি হুমকির কারণে।
আর্জেন্টিনার টিভি স্টেশন ‘রোজারিও ৩’ কে দি মারিয়া জানিয়েছেন, নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে নিজ জন্মভূমিতে ফিরছেন না তিনি। তিনি জানিয়েছেন, তার মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এমনকি হুমকিদাতারা বুলেটবিদ্ধ শূকরের মাথা পাঠিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছে তার বোনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
হুমকির ঘটনা সম্পর্কে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা বলেন, 'আমার বোনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হুমকি দেওয়া হয়েছে। একটি বাকে বুলেটবিদ্ধ শূকরের মাথা পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে একটি চিরকুট, যেখানে লেখা রয়েছে, আমি যদি রোজিওতে ফিরি, তাহলে পরবর্তী মাথাটি হবে আমার মেয়ে পিয়ার (ছোট মেয়ে)। '
হুমকির কারণে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত দি মারিয়া বলেন, 'রোজারিওতে ফেরাটা আমার স্বপ্ন ছিল। তবে আমার পরিবারের নিরাপত্তার ঝুঁকি নিতে পারি না। এই হুমকির পর আমি মনে করে রোজারিওতে ফেরা হবে না। '
এবারই প্রথম নয়। গত মার্চেও একবার প্রাণনাশের হুমকি পান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস ও বেনফিকার মতো ক্লাবে খেলা দি মারিয়া। রোজারিওর কোনো ক্লাবে যোগ দিলে তাকে সপরিবারে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। পরে হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার করেছে আর্জেন্টিনার ফেডারেল পুলিশ।
দি মারিয়ার আগে লিওনেল মেসিকেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। গত বছর আর্জেন্টাইন অধিনায়কের স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জোর পারিবারিক দোকানে গুলি চালিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। মেসির জন্মভূমি এই রোজারিও। এখান থেকে ফুটবলে হাতেখড়ি মেসিরও। কিন্তু আর্জেন্টিনার সান্তা ফের এই শহরে সম্প্রতি গ্যাংভিত্তিক অপরাধ ছড়িয়ে পড়েছে। সান্তা ফের গভর্নর মাক্সিমিলিয়ানো পুয়ারো নিজে নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যবস্থা করার দাবি করলেও তাতে কাজ হচ্ছে না।
রোজারিওতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দিন দিন ভয়ানক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এতোই খারাপ যে, দি মারিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, '(এই শহরে) বাসের অপেক্ষায় দাঁড়াতে পারছে না লোকজন। খুন হচ্ছে একটি ব্যাকপ্যাকের জন্য কিংবা চুরি-ডাকাতির শিকার হচ্ছে। লোকজন কাজের জন্য বাইরে যেতে পারছে না। এমন পরিস্থিতি যেখানে, সেখানে আমার নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলা অসম্মানজনক বলেই মনে করি। '
Editor-in-Chief and Publisher: Mohammed Imran Ali, Executive Editor: Ahmed Ferdous Shakar, News Editor: Ahia Ahmed. E-mail: news.todaysylhet24@gimal.com
www.todaysylhet.com