গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি :: টানা ৪৮ ঘন্টা মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে অবশেষ না ফেরার দেশে চলে গেলেন সিলেটের গোলাপগঞ্জে পুলিশের গুলিতে আহত সিএনজি (অটোরিকশা) চালক গৌছ উদ্দিন।
সোমবার রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত উপজেলার পৌর এলাকার উত্তর ঘোষগাও গ্রামের মোবারক আলী খানের পুত্র। এনিয়ে মৃত্যুর সংখা দাঁড়ালো ৬জন।
এদিকে নিহত গৌছ উদ্দিনের মৃত্যুর সংবাদ মঙ্গলবার উপজেলার পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করানো হলে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। তিনি রোববার উপজেলা সদরে কোটা বিরোধী আন্দোলনের মিছিলে গেলে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন।
জানা যায়, রোববার উপজেলা ঢাকাদক্ষিণ বাজারে মিছিল বের করে শত শত ছাত্র-জনতা।
এসময় পুলিশ ও বিজিবি তাদের বাধা দেয়। তাদের বাধা উপেক্ষা করে মিছিল করলে গুলি করে পুলিশ ও বিজিবি। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তাজ উদ্দিন (৩৫), নাজমুল ইসলাম ও ছানি আহমদ (১৮)।তবে অপর জনের নাম পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ প্রায় দেড়শতাধিক ব্যক্তি সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রবিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট নগরীর একটি বেসকারী হাসপাতালে মারা যান হাসান আহমদ জয়।