টুডে সিলেট ডেস্ক :: দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের অনুপস্থিতিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কে যানবাহন চলাচল অনেকটাই গতি ও স্বস্তি ফেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থীরা সড়ক ও আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলো পরিষ্কার করছেন। শিক্ষার্থীদের এই ভূমিকায় সাধারণ মানুষ প্রশংসা করছেন। পথচারীরা তাদের বাহবা দিচ্ছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শিক্ষার্থীদের এমন কার্যক্রম দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা সড়কের সিগন্যালে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। কেউ ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করলেই তারা চালকদের বাধা দিচ্ছেন। এতে করে রাস্তায় বড় ধরনের কোনো যানজট হচ্ছে না। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সাধারণ মানুষকে রাস্তা পারাপারে সহায়তা করতেও দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের এই চেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।
এদিকে বিজয় সরণি এলাকায় হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল আরোহীদের ৫-২০ মিনিট অপেক্ষায় রাখা হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রাস্তা পরিষ্কার ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিস, ইসলামী আন্দোলন ও আনসার সদস্যরা।
রাজারবাগ এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন সোলাইমান সবুজ নামে এক যুবক। তিনি বলেন, সড়কে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ নেই। শিক্ষার্থীরা সড়কে গাড়ির নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিয়েছেন। যা আমাদের জন্য খুব উপকার হয়েছে। এতে গাড়ি চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। তারা আসলে তাদের মতো করে চেষ্টা করছে। এটা কিন্তু প্রশংসনীয়।
জোবায়ের আহমেদ নামের এক পথচারী বলেন, শিক্ষার্থীরা দেখিয়ে দিয়েছেন, তাদের ক্ষমতা কত। তারা দেশটা এক প্রকার স্বাধীন করে দিয়েছে। আমি তাদের এই ভূমিকা নেওয়ার জন্য সাধুবাদ জানাই।
রাজারবাগ এলাকায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা এক শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, দেশকে এখন গোছানোর পালা। যেহেতু এখনো কোনো সরকার গঠন হয়নি, এই মুহূর্তে পুলিশ বা ট্রাফিক পুলিশও নেই। তাই আমরা রাস্তায় যাতে যান চলাচলে সমস্যা না হয় তাই আমরা শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের আশ-পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলো নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা সবাইকে অনুরোধ করব সবাই যেন ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলে।