টুডে সিলেট ডেস্ক :: বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ বিগত ১২ বছরে ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়িচালক আবেদ আলীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১২ আগস্ট) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এই মামলায় ৯ জুলাই আবেদ আলীসহ সাতজন আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। এরপর ১১ জুলাই তার জামিন নামঞ্জুর করেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন। এরপর তার পক্ষে আইনজীবীরা জামিন চেয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন। আজ সেই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।
ওইদিন স্বীকারোক্তি দেওয়া অন্য আসামিরা হলেন, মো. খলিলুর রহমান, সাজেদুল ইসলাম (৪১), ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলেমান মো. সোহেল (৩৫), মো. সাখাওয়াত হোসেন (৩৪), সায়েম হোসেন এবং বেকার যুবক লিটন সরকার। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশনের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্য ১০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন, পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান ও ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিপিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই প্রশ্নফাঁস করে অর্থ লোপাটে মেতে উঠতো সংঘবদ্ধ চক্রটি। প্রশ্নফাঁসকারী চক্রটি গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ পরীক্ষাকে বেছে নেয়। এ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির তথ্য ফাঁস করতে ছদ্মবেশ ধারণ করে অনুসন্ধানী সাংবাদিক টিম। এরপর সিআইডির অভিযানে এই ১৭ জন গ্রেপ্তার হন।