জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ মৃত্যুকে রহস্যজন দাবি করে পরিবার বলছে এটি হত্যাকাণ্ড। মৃত তরুণের নাম আলামিন মিয়া (২২)। তিনি উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের হাড়গ্রাম গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ও পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
মঙ্গলবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার রাতে হাড়গ্রাম গ্রামের বাড়িতে একা ছিলেন ওই আলামিন। পরদিন রোববার সকালে আলামিনের মামা সিতু মিয়া তাঁকে ডাকতে গিয়ে সাড়া না পেয়ে দরজাটি ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন। পরে ওই রাজমিস্ত্রিকে গলায় ওড়না দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. নজমুদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে বিছানার ওপর ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। তবে তাঁর বাম হাতের কবজিতে কাটা দাগ এবং ঘরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তের চিহ্ন দেখে উপস্থিত সবার সন্দেহ হয়। পুলিশ কর্মবিরতি থাকায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় লাশটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মরচুয়ারিতে রাখা হয়।
এদিকে ঘটনার পরদিন ওই রাজমিস্ত্রি আলামিনের পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনার সময় তোলা কিছু ছবি এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের একটি ভিডিও আসে। যা দেখে পরিবারের সদস্যরা মৃত্যুকে হত্যা বলে দাবি করছেন।
আলামিনের মা পারুল বেগম বলেন, ‘ঘটনার সময়ের ছবি ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখেই বোঝা যাচ্ছে ঘটনার সময় আমার ছেলের কাছে আরও কেউ ছিল। ওই সব ছবি তো সে একা তুলতে পারবে না! আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকালে লাশটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। বেশ কিছু ছবি ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।