১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

add

দোয়ারাবাজারে বেপরোয়া পাথরখেকো সি’ন্ডি’কে’ট

todaysylhet.com
প্রকাশিত ১৩ আগস্ট, মঙ্গলবার, ২০২৪ ২৩:১৪:৪৮
দোয়ারাবাজারে বেপরোয়া পাথরখেকো সি’ন্ডি’কে’ট

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্তে বাঁশতলা-হকনগর পর্যটন এলাকায় ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে পাথরখেকো সিন্ডিকেট। প্রতিনিয়িত লুট হচ্ছে বালু পাথর। গাছপালা উজাড় করে বড় বড় গর্ত করে অবাধে পাথর উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে ওই এলাকার পরিবেশ। দৃশ্যমান সেসব বিচিত্র বড় বড় গর্ত ক্রমশ সৌন্দর্য্য হারাতে বসেছে উপজেলার একমাত্র বাঁশতলা হকনগর শহীদ স্মৃতিসৌধ ও নান্দনিক পর্যটন এলাকা।

চারিদিকে শুধু বড় বড় গর্ত ও পাথরের স্তূপ। গত ৫ আগষ্ট দেশের বর্তমান সরকারের পটপরিবর্তনের পর থেকেই স্থানীয় প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে চালিয়ে যাচ্ছে পাথর হরিলুটসহ রমরমা বাণিজ্য।

সরেজমিন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অসাধু পাথর ব্যবসায়ীরা স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে ট্রলি ও ট্রাক্টর দ্বারা পরিবহনের মাধ্যমে সীমান্তের জুমগাঁও ও হকনগর বাজার এলাকায় এসব পাথর ড্রাম্পিং করা হচ্ছে। ড্রাম্পিং করা লাখ লাখ টাকার এসব পাথর শিল্প নগরী ছাতকসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। সরকারি অনুমোদন বা কোনো প্রকার লিজ ছাড়াই চিহ্নিত আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সক্রিয় বেপরোয়া একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় অবাধে পাথর উত্তোলন করে চড়া মূল্যে বিক্রি করে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।

সম্প্রতি বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে দিনরাত পাথর উত্তোলন করে বিভিন্ন এলাকায় ড্রাম্পিং করা হচ্ছে। আর ওই সুবাদে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে চোরাই সিন্ডিকেট।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকার কিছু প্রভাবশালীর নেতৃত্বে এসব পাথর লুটপাটের মহোৎসব চলছে। ফলে অব্যাহত পাথর উত্তোলনের কারণে বাঁশতলা-হকনগর শহীদ স্মৃতিসৌধ এলাকায় পরিবেশ ভারসাম্যের মারাত্মক ধস নেমেছে। পাশাপাশি স্থানীয় হকনগর বাজার সংলগ্ন মৌলা নদীতে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্লুইস গেটটি রয়েছে হুমকির মুখে। বালি খুঁড়ে পাথর উত্তোলনের কারণে কোয়ারি এলাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়াতে একটুখানি বৃষ্টি হলেই গর্তগুলো পুকুরে পরিণত হয়। এছাড়া সীমান্তের একেবারে জিরো পয়েন্টে গিয়েও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় প্রতিনিয়ত পাথর উত্তোলন করছে শ্রমিকরা। স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে – অতি সম্প্রতি সরকারের পটপরিবর্তনের পর থেকে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠেছে পাথর খেকো সিন্ডিকেট।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাদির ও আল আমিন লাভলু বলেন, ইদানিং আবারো পাথর উত্তোলন ও বিক্রি শুরু হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। সোমবার স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প কর্তৃপক্ষকে ওই এলাকায় পাথর উত্তোলন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আমরা জানিয়েছে।    সূত্র: সিলেট ভিউ