১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

add

মৌলভীবাজারে পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

todaysylhet.com
প্রকাশিত ২১ আগস্ট, বুধবার, ২০২৪ ১৮:৩৯:৪৮
মৌলভীবাজারে পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের ৪ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ১৩৪৪ হেক্টর জমির উঠতি রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার জেলার কুশিয়ারা, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সাগরের লঘু চাপের প্রভাবে অতি বৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়েছে। মৌলভীবাজারে গত ২৪ ঘন্টায় ২০০ মিলি মিটার বৃষ্টি রের্কড করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলার ৭টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১ হাজার হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৭৯ হাজার ৭৫৭ হেক্টর। ভারি বর্ষণে ৭টি উপজেলায় ১৩৪৪ হেক্টও রোপা আমন ক্ষেত বানের পানিতে তলিয়ে গেছে।

এদিকে, শরৎ মৌসুমে আরেক ধাপে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী পাড়ের সাধারণ মানুষ আবারও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে লোকালয়ে। উপজেলার জুড়ী নদী বিপদসীমার প্রায় ২ সে: মিটার উপর ও ধলাই নদী বিপদসীমার ২৪ সে:মি: উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও মনু ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। যে কোন সময় বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলার রাজনগর উপজেলার হাওর পাড়ের জালালপুর গ্রামের নাহিদ মিয়া বলেন, আমাদের ৮ এশর রোপা আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

কুলাউড়া উপজেলার হিঙ্গাজিয়া গ্রামের বাসিন্দা শুভ যাদব বলেন, পাহাড়ি ঢলে উঠতি রোপা আমন ও পাকা আউশ ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গ্রামীণ রাস্তাঘাট বানের পানিতে ডুবে যাওয়ায় এলাকায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরায় বৃষ্টি হওয়াতে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজারে ২০০ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ১৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। মৌলভীবাজারে আরো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানিও নিচে নেমে যাবে।

মৌলভীবাজার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ভারি বর্ষণে ৭টি উপজেলায় ১৩৪৪ হেক্টও রোপা আমন ক্ষেতের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। নিমজ্জিত ধানি জমিতে বেশি দিন পানি লেগে থাকলে ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।