১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

add

মৌলভীবাজারে পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ, বন্ধ সড়ক যোগাযোগ

todaysylhet.com
প্রকাশিত ২৩ আগস্ট, শুক্রবার, ২০২৪ ০২:২৬:২০
মৌলভীবাজারে পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ, বন্ধ সড়ক যোগাযোগ

 

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানি ঢলে আকস্মিক বন্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী, কমলগঞ্জ, রাজনগর ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অসংখ্য ঘরবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কমপক্ষে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ। এ ছাড়া সড়কপথে সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে পানি কমতে শুরু করেছে বলে আশার খবর দিয়েছে পাউবো।

বিপৎসীমার উপরে গোমতীর পানি, বাঁধ ভাঙার গুজবে নির্ঘুম রাত বিপৎসীমার উপরে গোমতীর পানি, বাঁধ ভাঙার গুজবে নির্ঘুম রাত স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মনু ও ধলাই নদীর একাধিক স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে কমলগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এতে নতুন করে আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। অপরদিকে মনু নদীর টিলাগাঁও প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে কুলাউড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। মনু নদীর ভাঙনে রাজনগর উপজেলার টেংরা, কামারচাক, মনসুরনগর, রাজনগর সদর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ৯টার আপডেট অনুযায়ী জেলার মনু নদী (রেলওয়ে ব্রীজ) বিপৎসীমার ১০৫ সে.মি, চাঁদনীঘাট এলাকায় ১১৫ সে.মি, ধলাই নদীতে ৩২ সে.মি ও জুড়ী নদীতে বিপদসীমার ১৯০ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহম্মদ ছাদু মিয়া জানান, এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ। বন্যার্তদের সহায়তায় ১০৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান জানান, ‘শহর ও মানুষের জানমাল রক্ষা করতে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে।’

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, মৌলভীবাজারের সবগুলো নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাবে। এ ছাড়া যেসব স্থানে বাঁধ ভেঙেছে সেগুলোতে কাজ চলছে।

তিনি আরও জানান, ‘পাউবোর পক্ষে সার্বক্ষণিকভাবে উপস্থিত থেকে তদারকি করছেন সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম ও মৌলভীবাজারের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল মোমিন।’