১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

add

জয়ের অভিন্ন লক্ষ্য জামালদের

todaysylhet.com
প্রকাশিত ০৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার, ২০২৪ ২২:২১:০৪
জয়ের অভিন্ন লক্ষ্য জামালদের

স্পোর্টস ডেস্ক :: দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে আগামীকাল ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ফিফা টায়ার ওয়ান মর্যাদার এ ম্যাচ।

 

প্রথম ম্যাচে শেখ মোরসালিনের একমাত্র গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে জয় পেলেও দলের নৈপুণ্য অবশ্য আশাব্যঞ্জক ছিল না। তার ওপর আগামীকালে ম্যাচে ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেনের সার্ভিস পাচ্ছে না বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষদিকে পায়ের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন বসুন্ধরা কিংসের এ ফরোয়ার্ড।

 

ইনজুরি অবশ্য গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় দলের কোচ হাসান আল মামুন, ‘প্রথম ম্যাচে খেলার একটা মুহূর্তে ওদের একজন খেলোয়াড়ের ট্যাকলে রাকিব চোট পেয়েছে। অ্যাঙ্কেলে এক্সরে করানো হয়েছে। আমরা যেটা জানতে পেরেছি, এ ম্যাচে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। চোট এতটা ব্যাপক নয় যে, তাকে লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হবে। আশা করি, খুব দ্রুতই রাকিব দলে ফিরবে।’

 

বাংলাদেশ দুই ম্যাচ থেকেই জয় তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে ভুটান গেছে। প্রথম ম্যাচ জয়ে ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। লক্ষ্য অর্জনের বাকি কাজটা করতে মরিয়া বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। অভিজ্ঞ এ মিডফিল্ডার বলছিলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমরা জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ব। ভুটান প্রথম ম্যাচে অনেক ভালো করেছে। তাদের তিন-চারজন খেলোয়াড় ছিল না। যারা খেলেছেন, তারাও অনেক ভালো নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। দল হিসেবে তারা খুব প্রেশার দিয়েছে। আমরা যদি ক্লিনশিট ধরে রাখতে পারি, তাহলে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে।’

 

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৪) চেয়ে এগিয়ে আছে ভুটান (১৮২)। সিরিজের দুই ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারলে পরবর্তী র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করবে লাল-সবুজরা, যা আসন্ন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ড্র-তে বাংলাদেশকে সুবিধাজনক জায়গায় রাখতে পারে।

 

জামাল ভূঁইয়াও সে কথাই বললেন, ‘আমরা বলেছি, ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৫০ শতাংশ এখনো বাকি। এ ম্যাচটা দলের জন্য ফাইনালের মতো। প্রথম ম্যাচ জিতেছি, আমরা এ ম্যাচও জিততে চাই। বাংলাদেশ জয় পেলে আমরা সবাই খুশি থাকব।’

 

প্রথম ম্যাচে নিজেদের ভুলগুলো নিয়ে কাজ করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচের পরিকল্পনা শিষ্যদের বুঝিয়ে দিয়েছেন হাভিয়ের কাবরেরা। এ সময় প্রতিপক্ষ দলের শক্তি-দুর্বলতার বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়। ম্যাচ পরিকল্পনা সম্পর্কে হাসান আল মামুন বলছিলেন, ‘ম্যাচের আগে দলের শেষ ট্রেনিংয়ের মূল উদ্দেশ্য ছিল খেলোয়াড়দের ম্যাচের জন্য ফোকাস রাখা। আপনারা জানেন, এরই মধ্যে একটা ম্যাচ খেলেছি, ওদের সম্পর্কে আমাদের অনেকটা জানা হয়েছে। ভুটান এবার যে ফরমেশনে খেলেছে, অতীতে আমরা আসলে তাদের এই ফরমেশনে দেখিনি। অতীতে হয়তো ৪-২-৩-১ এই ফরমেশনে খেলেছে দলটি। এবার তারা ব্যাকলাইনে পাঁচজন নিয়ে খেলেছে লম্বা একটা সময়। এটা একেবারেই ভিন্ন ছিল।’

 

সাবেক এ ফুটবলার আরও বলেন, ‘প্রতিপক্ষ দলের কৌশলগত দিকগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বিষয় ছিল শেষ অনুশীলন পর্বে। আমরা কীভাবে প্রেসিংয়ে যাব, প্রতিপক্ষ দলকে কীভাবে মোকাবিলা করব, কোন প্রক্রিয়ায় আক্রমণে যাব, প্রতিপক্ষ দলের কি দুর্বলতা রয়েছে— এসব বিষয় নিয়েই কাজ হয়েছে।’