স্পোর্টস ডেস্ক :: ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কারের লক্ষ্যে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অপসারণের প্রক্রিয়া। ইতোমধ্যে দাবা এবং কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতিকে অপসারণ ও ব্রিজ ফেডারেশনের সভাপতিকে অব্যাহতি দিয়েছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। আজ (মঙ্গলবার) এক প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রণালয় বিদ্যমান ৪২ টি ফেডারেশন/এসোসিয়েশনের সভাপতিকে অপসারণ করেছে।
একটি প্রজ্ঞাপনে নতুন সভাপতি নিয়োগ প্রদানের লক্ষ্যে সকল ফেডারেশনের সভাপতি অপসারণের উল্লেখ থাকলেও, আরেকটি প্রতিস্থাপিত প্রজ্ঞাপনে অবশ্য সকল ফেডারেশনের সভাপতি উল্লেখ নেই।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব হুমায়ুন রশিদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮ এর ২২ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার দেশের বিদ্যমান ফেডারেশন/এসোসিয়েশন/বোর্ড/সংস্থার কার্যক্রম অধিকতর সক্রিয় ও সংস্কারের উদ্দেশ্যে উক্ত ফেডারেশন/এসোসিয়েশন/বোর্ড/সংস্থার বিদ্যমান সভাপতিগণকে এতদ্বারা অপসারণ করিল।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮ এর ২২ ধারায় রয়েছে— কতিপয় সংস্থার সভাপতি নিয়োগে সরকারের ক্ষমতা, ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন, চুক্তি বা আইনি দলিলে যাহা কিছু থাকুক না কেন তফসিলে বর্ণিত সংস্থার প্রধান হিসেবে একজন সভাপতি থাকবেন। যিনি সরকার কর্তৃক মনোনীত/ক্ষেত্র মতো, বিধি মোতাবেক নির্বাচিত হইবেন।’
তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এই আইনের অন্তর্ভূক্ত নয়। ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ফিফার দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। যে কারণে বাফুফে সভাপতি এই প্রজ্ঞাপনের আলোকে অপসারণ হচ্ছেন না।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। যদিও বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আগেও পদত্যাগ করেছেন এবং তার জায়গায় সাবেক ক্রিকেটার ও বোর্ডের প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ নতুন বোর্ড সভাপতি হয়েছেন।