ছাতক প্রতিনিধি :: নিখোঁজের দুই দিন পর সুনামগঞ্জের ছাতকে জিয়াউর রহমান (৫৫) নামে এক ব্যক্তির বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার উপজেলার সিংচাপইর ইউনিয়নের মহদী গ্ৰাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জিয়াউর রহমান ওই গ্রামের মৃত আলমাস আলী ময়নার ছেলে।
জাউয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (ইনচার্জ) আকরাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বস্তাবন্দী লাশের হাত–বাধা ছিল। মুখমণ্ডলও পচে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা পর বস্তার ভেতর ঢুকিয়ে ঘটনাস্থলে এনে ফেলে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
স্থানীয়রা জানান, মহদী গ্ৰামের ছোট খালে সাদা একটি বস্তার মধ্যে মৃতদেহ সন্দেহে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ খাল থেকে বস্তা খুলে ভেতরে হাত–বাধা অবস্থায় জিয়াউর রহমানের গলিত লাশটি উদ্ধার করে।
নিহতের ভাতিজা সিংচাপইর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মোহাম্মদ সাহেল বলেন, ‘গত রোববার রাতে আমার চাচা (জিয়াউর রহমান) নিখোঁজ হন। আমাদের পরিবার আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার চাচার সঙ্গে স্থানীয় কিছু লোকের রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। তারাই চাচাকে হত্যা করেছে। আমরা মামলা করব।’
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিন্দ্র পাল রাখাল মোবাইল ফোনে বলেন, ‘জিয়াউর আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাঁর বড় ভাই মৃত আজিজুর রহমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। এ এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকজন খুবই কম। ফলে জিয়াউরসহ তাঁর পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে।’