নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সিলেট নগরীর ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির স্বেচ্ছা বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার বাদী হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে এ দিনই অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
মামলার বাদী নগরীর হাতিমবাগ এলাকার বিরু মিয়ার ছেলে। মামলায় সিসিকের ৩ জন কাউন্সিলরকেও আসামি করা হয়েছে। শাহপরাণ থানার উপ-পরিদর্শক অনুপ কুমার চৌধুরী মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান, সিলেট ৩ আসনের সাবেক সাংসদ হাবিবুর রহমান হাবিব, আনোয়ারুজ্জামানের পিএস শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, দেবাংশ দাস মিঠু, ২১নং আব্দুর রকিব তুহিন, ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহেল আহমদ, এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন রাহি, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, ২৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাহিদুর রহমান সাব্বির, সৈয়দ আফজলসহ ৮১ জনের নামোল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনাম আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের আরও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম জানান, বিএনপির রাজনীতি করার পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সাথে অংশ নেই। আমাকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করতে চেয়েছিলো। আমি ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জন আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করার জন্য মামলার ১-১০ নং আসামিদের হুকুমে ১১নং আসামি চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজ ও শিশু হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি তুহিন আমাকে তার হাতে তাকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করতে চেয়েছিলো। এছাড়া ১২-২২নং আসামি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং মামলার ২৩-৮১ নং আসামির ছোড়া গুলিতে আমারে শরীরের বিভিন্ন অংশ ও পিঠে লাগে।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, থানায় দায়েরকৃত মামলায় ৮১ জনের নামোল্লেখ করেছেন বাদী। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। সেই সাথে আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
Editor-in-Chief and Publisher: Mohammed Imran Ali, Executive Editor: Ahmed Ferdous Shakar, News Editor: Ahia Ahmed. E-mail: news.todaysylhet24@gimal.com
www.todaysylhet.com