২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

add

গোয়াইনঘাটে বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি, কৃষকের মুখে হাসি

todaysylhet.com
প্রকাশিত ২৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার, ২০২৪ ১৭:১২:২৮
গোয়াইনঘাটে বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি, কৃষকের মুখে হাসি

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: গোয়াইনঘাট উপজেলায় গত দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা তাপদাহের পর অবশেষে নেমেছে বৃষ্টি। তীব্র গরমে হাসফাস অবস্থায় বৃষ্টি নামাতে স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। কৃষি নির্ভর এ উপজেলার কৃষকদের মাঝে স্বস্তির পাশাপাশি বেড়েছে তাদের ব্যস্ততাও। আসন্ন আমন মৌসুমে খেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষকেরা। বৃষ্টি নামাতে শাক সবজি চাষিরাও জানিয়েছেন স্বস্তির কথা।

 

গোয়াইনঘাট উপজেলা জুড়ে চলছে খরিপ-২ মৌসুমের সবজি চাষ, শীতকালীন সবজি লাগানো ও রোপা আমনের পরিচর্যার কর্মযজ্ঞ। এসময়েই লোডশেডিং এর সঙ্গে তীব্র রোদ ও ভ্যাপসা গরম। এতে জনজীবন যেমন অতিষ্ঠ তেমনি কৃষিতেও পড়ছিলো নেতিবাচক প্রভাব। ভ্যাপসা গরমে শিশু ও বৃদ্ধদের অসুস্থতার হারও বেড়ে গিয়েছে। অস্বস্তি ও দুর্ভোগে স্বস্তি আনলো বৃষ্টি বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, স্বস্তির এ বৃষ্টিতে ভিজে সবচেয়ে ভালো প্রভাব ফেলেছে জনস্বাস্থ্য ও কৃষিতে।

 

বিশেষত ধানের খেতে সেচ দেয়া নিয়ে কৃষকরা উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছিলেন। লোডশেডিং তীব্র হওয়ায় আবাদ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করছিলেন। সেখানে আশীর্বাদ হয়েই ঝরলো গত শনিবারের বৃষ্টি। কৃষকরা বলছেন, যখন সেচ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সে মুহূর্তেই আকাশের বৃষ্টি হলো। এ বৃষ্টি অন্য সব ফসলের জন্যই উপকারী বলছেন চাষীসহ কৃষি বিভাগ।

 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,এ বছর উপজেলায় আমন আবাদ হয়েছে আঠারো হাজার বায়ন্ন হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭,৮,৩৩ হেক্টর যা লক্ষ্যমাত্রা চাইতে বেশি জমি আবাদ হয়েছে।

 

কৃষক ময়বুর রহমান বলেন, গত ১৫ দিন ধরে আমন ধান নিয়ে হতাশায় ভোগার পর শনিবারের সকালের বৃষ্টিতে আশার সঞ্চার হয়েছে। দশ বিঘা জমিতে বিনা-৭ ও স্হানীয় জাতের মালতি ধান রোপন করেছি।পানির অভাবে সার ও নাড়াই দিতে পারছিলাম না।বৃষ্টির পর জমিতে পানি জমায় ধানের পুষ্টির জন্য সার ও রোগ বালাই থেকে ধানকে রক্ষা করতে স্প্রে করছি।

 

একই কথা জানিয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন, তিনি চার বিঘা জমিতে বিনা-৭ রোপন করেছেন। গতকাল সার প্রয়োগ করেছেন।

এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির সঙ্গে কৃষকদের মাঝে বেড়েছে ব্যস্ততা। কাজের মানুষদের নিয়ে জমিতে সার প্রয়োগ,নাড়াই ও বন বাছাইয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।