২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

add

মহাসড়কে ডাকাতি; প্রবাসীর গ্রিন কার্ডসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট

todaysylhet.com
প্রকাশিত ২৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার, ২০২৪ ২১:৪৮:৪৬
মহাসড়কে ডাকাতি; প্রবাসীর গ্রিন কার্ডসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট

টুডে সিলেট ডেস্ক :: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁওয়ে আবারও প্রবাসীকে বহনকারী গাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা রবিউল ইসলাম নামে ওই প্রবাসীর ইতালিয়ান গ্রিন কার্ড, তার কাছে থাকা মার্কিন ডলার, ইউরো, আটটি মোবাইল সেট, নগদ টাকাসহ ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।

 

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মহাসড়কের পিরোজপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এর আগে গত ১৬ আগস্ট রাতে একই স্থানে মালয়েশিয়া প্রবাসী মামুন মিয়ার গাড়িতে ডাকাতি হয়।

 

ভুক্তভোগী রবিউল নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার বসন্তীপুর গ্রামের সালেহ আহমেদের ছেলে। তিনি ইতালির গ্রিন কার্ডধারী। রবিউল দীর্ঘ সাত বছর পর দেশে ফিরেছেন।

 

রবিউলের চাচাতো ভাই জুয়েল মিয়া জানান, মঙ্গলবার দিনগত রাত আড়াইটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান রবিউল। বিমানবন্দর থেকে তাকে প্রাইভেটকারযোগে বাড়ি নিতে তারা ঢাকায় আসেন। সঙ্গে জুয়েলের পাশাপাশি নেয়ামত উল্লাহ ও একই গ্রামের প্রাইভেটকার চালক মিজানসহ চারজন ছিলেন। বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে তারা প্রাইভেটকারযোগে নোয়াখালী ফিরছিলেন। ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পৌঁছালে ডাকাতরা একটি ট্রাক দিয়ে তাদের গাড়ি গতিরোধ করে। এসময় দেশি ধারালো অস্ত্রে জিম্মি করে রবিউলের কাছে থাকা ৯শ’ ডলার, সাড়ে ৩শ’ ইউরো, একটি আই ফোনসহ আটটি মোবাইল সেট, মালামালসহ একটি লাগেজ, গ্রিনকার্ড, ব্যাংক কার্ড, বাংলাদেশি নগদ টাকাসহ ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।

 

রবিউল ইসলাম বলেন, ডাকাতি হওয়ার পরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় থানায় যাই। পরে ডিউটি অফিসার এসআই আল ইসলামের মোবাইল নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন। ওই সময় তাকে মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলেন।

 

যোগাযোগ করা হলে সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে রাতে টহলে ছিলাম। ডাকাতরা দু’তিন মিনিটে ডাকাতি করে চলে যায়। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।

 

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, আগের তুলনায় ডাকাতি কমেছে। তবে এখনো সব অফিসার থানায় যোগদান করেননি। জনবল কম থাকায় অনেক কিছু সম্ভব হচ্ছে না। ডাকাত ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে।