মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র মহসীন মিয়া মধুর বাসায় হামলার অভিযোগে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মৌলভীবাজার আদালতে মেয়রের কর্মচারী ইউসুফ মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
২০২১ সালে পৌরসভা নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা মহসীন মিয়ার বাড়িতে হামলার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে এই মামলায় আসামী করা হয়েছে।
মামলায় আসামীরা হলেন, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র ফজলুর রহমান, যুবলীগ নেতা ও কমলগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জুয়েল আহমেদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী, জহর তরফদার, এস কে দাশ সুমন, জেলা যুবলীগ সভাপতি সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন ও আকরামুল হক সোহাগসহ ৩৪ জন৷
এই মামলার স্বাক্ষী হিসেবে রয়েছেন, মো. মহসীন মিয়া মধু, মুরাদ হোসেন সুমন, মোশাররফ হোসেন রাজ, রুকন উজ জামান ও শাহাদাৎ হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা নির্বাচনে খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মহসীন মিয়া বিজয়ী হন। সেই সময়ে মহসীন মিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা সৈয়দ মনসুরুল হক। যিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা চলাকালীন সময়ে মহসীন মিয়ার সমর্থকদরে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করা হয়। এছাড়াও আসামীরা শতাধিক মোটর সাইকেলযোগে মহসীন মিয়ার বাসার গেইটের সামনে এসে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে বাসা ঘেরাও করে উশৃঙ্খল আচরণসহ বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দিয়ে গালিগালাজ করেন।
মামলায় উল্লেখিত ২নং আসামী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ৩নং আসামী মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ও ৪নং আসামী কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র থাকা অবস্থায় এবং ৬ নং ও ১২নং আসামী সরকারি কর্মচারী থাকা স্বত্ত্বেও তাহারা প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করিয়া ১নং আসামীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা সহ ১নং স্বাক্ষীর কর্মী সমর্থকগণকে হুমকি প্রদান করেন।
৬ নং এবং ১২নং আসামী সরকারি কর্মচারী হইয়াও তারা সদা সর্বদা নৌকা প্রতীকের পক্ষে সকল সরকারি কর্মচারীগণকে ভয়-ভীতিসহ চাকুরী হারানোর হুমকি দিয়া নির্বাচনকে প্রভাবিত করিয়া প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে মিছিল, সমাবেশ ইত্যাদি পালন করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।