টুডে সিলেট ডেস্ক :: আগামী ২ অক্টোবর (বুধবার) বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে। গ্রহণটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডের দিকে গ্রহণটি শুরু হবে এবং গ্রহণ শেষ হবে রাত ৩টা ১৬ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডের দিকে গ্রহণটি শুরু হবে এবং গ্রহণ শেষ হবে রাত ৩টা ১৬ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশে গ্রহণটি দেখা যাবে না। তবে পলিনেশিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ আমেরিকা, অ্যান্টার্কটিকা এবং জর্জিয়া অঞ্চলে সূর্যগ্রহণটি দৃশ্যমান হবে।
উল্লেখ্য, পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘূর্ণায়মান অন্যদিকে চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। চাঁদ যখন কিছু সময়ের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে তখন তাকে সূর্যগ্রহণ বলে।
এক্ষেত্রে সূর্য যখন আংশিকভাবে ঢাকা পড়ে যায় চাঁদের জন্য তখন তাকে বলা হয় আংশিক সূর্যগ্রহণ। সূর্য যখন পুরোপুরি চাঁদের পেছনে চলে যায় তখন তাকে বলা হয় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।
অন্যদিকে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ বলতে বোঝায় সূর্যের ওপর চাঁদের ছায়া পড়ে। কিন্তু সেটা সূর্যকে সম্পূর্ণরূপে ঢাকতে পারবে না। চারপাশে লাল আলোর রিং বা বলয় দেখা যায়।
এই ধরনের সূর্যগ্রহণ তখন দেখা যায়, যখন সূর্যের বহিঃসীমা অঞ্চল ছাড়া বাকি অংশ চাঁদের দ্বারা ঢেকে যায়। অর্থাৎ পৃথিবী থেকে সূর্যের শুধু বহিঃসীমাকে দেখা যায়। দেখে মনে হয়, ঠিক যেন একটা আংটি। একে আগুনের বলয়ও বলা হয়ে থাকে। এই ধরনের সূর্যগ্রহণ সবথেকে কম দেখা যায়। কারণ এই গ্রহণের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের সঙ্গে চাঁদের দূরত্ব নির্দিষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
সূর্যগ্রহণ নিয়ে যত কুসংস্কার
সূর্যগ্রহণ ঘিরে আমাদের সমাজেও নানা কুসংস্কার আছে। গ্রহণের সময় গর্ভবতী মায়েরা কোনও কিছু খেলে সন্তান পেটুক হয়। এ সময় কিছু কাটলে, বিশেষ করে মাছ কাটলে ঠোঁট কাটা, কান কাটা বা নাক কাটা সন্তানের জন্ম হয়। এছাড়াও বলা হয়, সূর্যগ্রহণের সময় গাছের ডাল ভাঙলে বা বাঁকানোর চেষ্টা করলে হাত-পা বাঁকানো (পোলিও) সন্তানের জন্ম হয়। গ্রহণের সময় খেতে নেই, তৈরি করা খাবার ফেলে দিতে হয়।
এমনকি গ্রহণ দেখাও নিষেধ অনেকের কাছে। হয়ত রাহু বা ড্রাগনের সূর্যকে গিলে ফেলার ভয়ে, ছায়া লহরীর সাপদের এড়াতেই এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতো। আজকের দিনে আমরা জানি, সূর্য আর পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ এসে যাওয়ার কারণেই গ্রহণ হয়। তাই ক্ষতিকারক কোনও জীবাণুর জন্ম, কোনও বিশেষ রশ্মির প্রভাব ইত্যাদি অবান্তর।