নিজস্ব প্রতিবেদক :: আসন্ন দুর্গাপূজায় সিলেট নগর ও জেলা মিলিয়ে ৫শ’ ৯৩টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে নগরের ১শ’ ৫৩টি ও জেলার ৪শ’ ৪০টি মণ্ডপে পূজা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে পূজাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যেমনি প্রস্তুতি চালাচ্ছেন, তেমনি করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ছক সাজানো হচ্ছে।
এদিকে দুর্গাপূজা উদ্যাপন উপলক্ষে সিলেট জেলা পুলিশের আয়োজনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোনো দুষ্কৃতকারী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। ফেসবুকে গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন- যে যার জায়গা থেকে কাজ করলে স্বাচ্ছন্দ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুর্গাপূজা উদ্যাপন করতে পারবে।
গত বৃহস্পতিবার সিলেটে এ সংক্রান্ত বৈঠকে এসপি এ হুঁশিয়ারি।
বৈঠকে জানানো হয়, সিলেট জেলার মধ্যে সর্বাধিক প্রতিমা বিসর্জন হয় সিলেট নগরীর চাঁদনী ঘাটের সুরমা নদীতে ও জকিগঞ্জের কাস্টম ঘাটের কুশিয়ারা নদীতে। পূজা উপলক্ষে ত্রুটিপূর্ণ সড়ক সংস্কার, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখা ও প্রতিমা বিসর্জন এলাকা ও প্রতিটা পূজামণ্ডপসহ পূজারি চলাচল স্থানসমূহে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি কঠোর নজর রাখার আহ্বান করা হয়। বৈঠকে পূজা উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে উপস্থিত সদস্যরা সমন্বয় করে হিন্দু-মুসলিমরা মিলেমিশে সম্প্রতির বন্ধন বজায় রেখে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জুমার দিনে মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে মুসলমানদের সম্পৃক্ত করার কথা বলা হয়। তবে হিন্দু-মুসলিম ধর্মে নিষিদ্ধ আতশবাজি বা পটকা ব্যবহারে সবাইকে নিরুৎসাহিত করা হয়।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় বৈঠকে সিলেট বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, সিলেট জেলা ও মহানগর ইমাম সমিতির নেতৃত্ব, সিলেট মহানগর ও কেন্দ্রীয় কমিটি এবং উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতাদের পাশাপাশি সিভিল সার্জন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, বিজিবি, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও পিডিবি’র প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।