সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ভারতীয় চোরাই কয়লাবোঝাই নৌকাসহ তিন কয়লা চোরাকারবারিকে আটক করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ। আটককৃত মালামালের মূল্য ১২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার সময় উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের পাটলাই নদীতে আলী নূরের বসত বাড়ির ঘাটে অভিযান চালিয়ে ২৮ মেট্রিক টন ভারতীয় চোরাই কয়লা বোঝাই ১টি ইঞ্জিন চালিত স্টিল বডি নৌকাসহ তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন-শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের আব্দুল মন্নানের ছেলে আলী নূর (৫৪) এবং একই ইউনিয়নের তরং গ্রামের ফরমুজ আলীর ছেলে রাজুল (৫৫) ও রাজুর ছেলে পলক প্রকাশ বাবু (২০)।
এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ট্যাকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই কামাল হোসেন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাহিরপুর থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে একটি মামলা দায়ের করে।
পুলিশ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ এক চোরাকারবারি সিন্ডিকেট তাহিরপুর উপজেলার ট্যাকেরঘাট, লাকমা, চারাগাওঁ, কলাগাওঁ ও বাগলী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে রাতের আধাঁরে চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় কয়লা বাংলাদেশে নিয়ে এসে বিভিন্ন বাড়িঘরে মজুদ রাখে। পরবর্তীতে সময় সুযোগ বোঝে ওই কয়লা চোরাকারবারি সিন্ডিকেট চক্রটি রাতের আধাঁরে নৌকা যোগে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে আসছে। গতকাল একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ট্যাকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই যীশু দত্ত সঙ্গীয় ফোর্সসহ রাত দেড়টায় ১নং শ্রীপুর উত্তর ইউপির কামালপুর গ্রামের আলী নূর এর বসত বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের পাটলাই নদীতে আলী নূরের ঘাটে অভিযান চালিয়ে পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাই কয়লা বোঝাই নৌকা রেখে পালানোর চেষ্টাকালে চোরাকারবারি আলী নূর (৫৪), রাজুল (৫৫) ও তার ছেলে পলক প্রকাশ বাবুসহ ১০ লাখ টাকা মূল্যের একটি স্টিলবড়ি নৌকা আটক ও নৌকায় থাকা ২৮ মেট্রিক টন ভারতীয় চোরাই কয়লা আটক করে পুলিশ। যার মূল্য ২ লাখ ৮০ টাকা। এ সময় কয়লা চোরাকারবারি লালঘাট গ্রামের জফুর মিয়ার ছেলে সাবুল (২৮), এবং বড়ছড়া গ্রামের জাহের আলী ছেলে শুকুর আলী (৩৮)সহ ৭/৮ জন নৌকা থেকে পানিতে ঝাপ দিয়ে সাতরাইয়া পালিয়ে যায়। পরে রাতেই কয়লা বোঝাই নৌকাসহ তাদের তাহিরপুর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আটককৃতসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং আটককৃতদের কোর্ট হাজতের মাধ্যমে জেল কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
Editor-in-Chief and Publisher: Mohammed Imran Ali, Executive Editor: Ahmed Ferdous Shakar, News Editor: Ahia Ahmed. E-mail: news.todaysylhet24@gimal.com
www.todaysylhet.com