সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: চারদিনের ছুটিতে সুনামগঞ্জের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। নানা বয়সী মানুষ হাওরের রঙিন পানিতে ঘা ভিজিয়ে আনন্দ উদযাপন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্ষায় সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, নীলাদ্রি লেক, বারিকাটিলা যাদুকাটা নদীসহ অপরূপ সৌন্দর্যের এসব স্পটে পর্যটকের ভিড় থাকলেও এবার চিত্র ছিল ভিন্ন। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে এ জনপদ একাকার ছিল এতোদিন। যার ফলে ঈদুল আজাহার ছুটিতে এ অঞ্চলের পর্যটন স্পটগুলো ছিল পর্যটকশূন্য। এতে পর্যটকরা যেমন বঞ্চিত হন, তেমনি পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যেও ধস নামে।
তবে দীর্ঘ বিরতির পর সুনামগঞ্জে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে পূজার চারদিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বিশেষ করে টাঙ্গুয়ার হাওরের শীতল পানিতে ঘা ভিজিয়ে পর্যটকরা যেমন তাদের যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করছেন তেমনি মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নীলাদ্রি, লাল শাপলার স্বর্গরাজ্য বিকি বিল ও শিমুল বাগানে।
তবে সুনামগঞ্জের পর্যটন স্পটে ঘুরতে আসা পর্যটক হামিদ বলেন, ছুটিতে ঘুরার জন্য টাঙ্গুয়ার হাওরকে আমরা বন্ধুরা বেঁচে নিয়েছি।
টাঙ্গুয়ার হাওরে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হাউসবোট। বিশেষ করে জলছবি, রঙিলা বাড়ই, হাওরের সুলতান, রূপকথা, সিন্দাবাদ তরী, মায়াবতী, জলেরগানসহ ৯০টি হাউসবোট ও ছোট বড় প্রায় ২০০ পর্যটকবাহী বোটের সবগুলোই বুকিং হয়ে গেছে।
হাসউবোট মালিক অমিত রায় বলেন, ছুটি উপলক্ষে পর্যটকরা সুনামগঞ্জে আসার কারণে সবগুলো হাউসবোট বুকিং হয়ে গেছে। আমরা আশা করি সুনামগঞ্জে যেহেতু নতুন করে পানি বেড়েছে পর্যটকরা আরও আসবেন।
তবে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, সুনামগঞ্জের হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে এখানকার পর্যটন শিল্পকে একটি রোল মডেল হিসেবে তৈরি করা হবে।