দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি :: কৃষকের স্বপ্ন ধান কেটছে ইঁদুর। নষ্ট করছে চলতি আমন মৌসুমের শিষ দেয়া ধানগাছ। ইঁদুর নিধনে কৃষকেরা বিভিন্ন ফাঁদ পাতলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। তাই এবার আমন মৌসুমের ফসল নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন কৃষকেরা।
ইতিমধ্যে কিছু ধানগাছে শিষ বেরিয়েছে। এমন সময় গাছ ইঁদুরে কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দোয়ারাবাজারে এ বছর আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ধান চাষ হয়েছে। কিছু ধানগাছে শিষ বেরিয়েছে। এমন সময় গাছগুলো ইঁদুরে কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। এতে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৪ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। উচ্চফলনশীল (উফশি) ও হাইব্রিড জাতের চারা রোপণ করা হয়েছে। এদিকে আমন আবাদ বাড়াতে সরকারিভাবে কৃষকদের বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে।
সরেজমিন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা সুরমা ইউনিয়নের বিভিন্ন হওরে গিয়ে ইঁদুরে কাটা ধানগাছগুলো দেখে মনে হচ্ছে, কেউ যেন ধারালো কাঁচি দিয়ে কেটে দিয়েছে। ইঁদুর নিধনেও হিমশিম খাচ্ছেন কৃষক। ইঁদুর নিধনে ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি কেউ কেউ সনাতন পদ্ধতিতে বাঁশ ও কাঠের তৈরি ইঁদুর মারার ফাঁদ ব্যবহার করছেন। আবার অনেকে ইঁদুর তাড়াতে খেতে নিষিদ্ধ পলিথিনও টাঙিয়ে রাখছেন।
সুরমা ইউনিয়নের হাছনবাহার গ্রামের কৃষক আকবর মিয়া জানান, আমনের ফলন ভাল হয়েছে। কিন্তু ধানগাছও ইঁদুর কেটে ফেলছে। প্রতিদিন রাত ১২ টা পর্যন্ত খেতের লাইল দিয়ে হাটি। কোন কিছুই কাজে আসছে না। ইঁদুরের উৎপাতে এখন আমার মাথা কাজ করছে না। ইঁদুর যেভাবে উৎপাত শুরু করেছে, তাতে শেষ পর্যন্ত ধান ঘরে তোলা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
লক্ষীপুর ইউনিয়নের রসরাই গ্রামের আব্দুল হান্নান বলেন, ইঁদুর নিধনে ওষুধের পাশাপাশি ইঁদুর মারার কল ব্যবহার করেও ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে না।ধানক্ষেতের মাঝে-মাঝে পলিথিন টাঙিয়ে দিয়েছি। বাতাসে কাগজ উড়লে শব্দ হয়, সেই শব্দ শুনে ইঁদুর পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না।
দোয়ারাবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে এ ধরনের খবর পেয়েছি। প্রতিটি ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা রয়েছেন। তাঁরা প্রতিদিন মাঠে গিয়ে কৃষকদের ইঁদুর মারার পদ্ধতি দেখিয়ে দিচ্ছেন। ইঁদুর খুবই বুদ্ধিসম্পন্ন একটি প্রাণী।’ তিনি আরও বলেন, জমির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। একধরনের পাখি রয়েছে যে পাখি ইঁদুর ধরে খেয়ে ফেলে। তাদের জমিতে বসার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে।
Editor-in-Chief and Publisher: Mohammed Imran Ali, Executive Editor: Ahmed Ferdous Shakar, News Editor: Ahia Ahmed. E-mail: news.todaysylhet24@gimal.com
www.todaysylhet.com