টুডে সিলেট ডেস্ক :: সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ গ্রুপের নেতাকর্মী ও জকিগঞ্জ পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রাজন গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় মুনিরুল ইসলাম রাজন ও জাবেদ আহমদ আহত হয়েছেন।
জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে জকিগঞ্জ কাষ্টমরোডে জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদলের কার্যালয়ে এই সংঘর্ষ সংঘটিত হয়। জকিগঞ্জ কাষ্টমরোডে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ও ফেষ্টুন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, জকিগঞ্জ পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রাজন ও তার গ্রুপের নেতাকর্মীরা কাষ্টমরোড দলীয় কার্যালয়ে বসা ছিলেন এই সময় সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদের নেতৃত্বে গ্রুপের নেতাকর্মীরা এসে অফিস ভাঙচুর করতে শুরু করলে রাজন ও তার সাথে থাকা নেতাকর্মীরা বাধা দিলে সংঘর্ষের উৎপত্তি হয়। এ সময় ইকবাল গ্রুপের নেতা পৌর সেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব আব্দুস সালাম উরফে বালু সালাম, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছালেহ আহমদ, ছাত্রলীগ নেতার ভাই সুলতান আহমদ, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান আহমদ, পৌর ছাত্রলীগ নেতা রায়হান আহমদ, তারেক আহমদ, লোবান আহমদ, আরিফ আহমদ, রাসেল আহমদ, আরিফ আহমদ-২, সোহেল আহমদসহ আরও ২০/২৫ জন মিলে এই হামলা চালান। অতর্কিত এই সংঘর্ষে মুনিরুল ইসলাম রাজন ও জাবেদ আহমদসহ আরও কয়েকজন আহত হন।
আহতদের মধ্যে পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রাজন ও আহবায়ক জাবেদ আহমদকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে আহতদের দেখতে বিএনপি নেতা সিদ্দিকুর রহমান পাপলু এসে এ ঘটনার নিন্দা জানান এবং আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। ঘটনার পর থেকে জকিগঞ্জে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, শুনেছি গতরাতে জকিগঞ্জ পৌর শহরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি জানিয়েছি, যারাই অন্যায়ের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জকিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস.এম. মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনিভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Editor-in-Chief and Publisher: Mohammed Imran Ali, Executive Editor: Ahmed Ferdous Shakar, News Editor: Ahia Ahmed. E-mail: news.todaysylhet24@gimal.com
www.todaysylhet.com