টুডে সিলেট ডেস্ক :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন। স্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ের বিপুল পরিমাণে বাণিজ্যিক ও কৃষি ভূমি রয়েছে। রেলওয়ের এসব ভূমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয়ভাবে বন্দোবস্ত নিয়ে খন্ডাংশ করে বিক্রিও করে বাণিজ্য চলছে। কেউ কেউ দখলে থাকলেও স্টেশন মাস্টারসহ সিন্ডিকেটের কাছে অর্থ প্রদান করতে হচ্ছে। সম্প্রতি শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের সংবাদের কথা শুনে শুরু হয়েছে অর্থ বাণিজ্য।
সরেজমিনে জানা যায়, শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণ পার্শ্বের অনেক ভূমি রয়েছে। এসব ভূমির মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক ও কৃষি ভূমি। স্থানীয়ভাবে কেউ কেউ বন্দোবস্তু নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বসতবাড়ি স্থাপন করে কলোনী দিয়ে শত শত লোকজন স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। কৃষি বন্দোবস্তু নিয়েও গড়ে তুলেছেন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় কিছু সিন্ডিকেট চক্র রেলওয়ের কলোনী কিংবা দখলকৃত ভূমিও খন্ডাংশ করে বিক্রি করছেন। কেউ কেউ ভাড়া দিয়ে লাভবান হচ্ছেন। তবে এসব কার্যক্রমের সাথে স্টেশন মাস্টারসহ কর্মরত স্থানীয় কিছু সুবিধাভোগীও সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি রেলস্টেশনে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের একটি সংবাদ লোকমুখে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে। এতে সিন্ডিকেটের বাণিজ্যের বিষয়টিও জোরদার হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্টেশনের উত্তরাংশে বসবাসরত আরও দু’জন বাসিন্দা জানান, এখানকার দু’তিন জন লোক ঘরে ঘরে গিয়ে সবাইকে টোকেন দিয়ে বলছে তাদের কাছে টাকা দিলে তারা কুলাউড়া অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে আসবে। তাতে অভিযানের সময় আর কোনো সমস্যা হবে না। নিরাপত্তার অভাবে তারা কারো নাম বলতে রাজি হয়নি।
বাচ্চু মিয়া নামে বসবাসরত স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, অনেক অভাবী মানুষ বসবাস করছে। তাদের আয় রোজগারও সীমিত। অভাব অনটনে দিন কাটছে। তাদের পক্ষে টাকা পয়সা দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন বলেন, কে বা কারা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে সে বিষয়ে কিছু জানা নেই। দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই এভাবে বসবাস করছেন।