১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

add

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ১৮ জনের পরিবারকে চেক প্রদান

todaysylhet.com
প্রকাশিত ০৯ নভেম্বর, শনিবার, ২০২৪ ২৩:৪২:০৩
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ১৮ জনের পরিবারকে চেক প্রদান

‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন’র সহায়তা


নিজস্ব প্রতিবেদক :: ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিলেট বিভাগে নিহত ১৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। নিহতদের প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা করে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। এছাড়া সংগঠনটির আরও ৮ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ জানান, সারাদেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ৬শ’ জনের বেশি শহিদ পরিবারের তালিকা তাদের কাছে এসেছে। প্রাথমিক অবস্থায় যাচাই-বাছাই করে নির্বাচিতদের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক দেয়া হচ্ছে। তারা প্রতি বিভাগে গিয়ে শহিদের পরিবারের হাতে অনুদানের চেক তুলে দিচ্ছেন। বাকি যারা রয়েছেন তাদের কাগজপত্র সংগ্রহের কাজ চলছে। সেগুলো হাতে পেলে সেসব পরিবারকেও অনুদান প্রদান করা হবে।

চেক বিতরণ কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য ২ হাজার মানুষ জীবন দেননি, এই অভ্যুত্থানও হয়নি। দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমগুলোর জন্য এই মানুষগুলো বিগত ১৬ বছরে বিরক্ত হতে হতে দেয়ালে পিঠ লেগে গিয়েছিল। এই অভ্যুত্থান কিছু লোক দিয়ে হয়নি। যেই ফ্যাসিস্ট সরকারকে ১৬ বছরে বাংলাদেশের নামিদামি রাজনৈতিক সংগঠন এক টনক নড়াতে পারেনি, সেই শেখ হাসিনা কিছু লোকের জন্য এই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছিল বলেই অভ্যুত্থান সফল হয়েছে এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন- আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যাবে না। আর শুধু একটা নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে না। এর সঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠান জড়িত। এরমধ্যে অন্যতম হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদেরও সংস্কার করতে হবে। তা না হলে নির্বাচন দিলে আবার জবরদখলের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে। আবার এই নির্বাচন ঘিরে কোন সমস্যা দেখা দিলে সে জন্য একটা বিচারিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তাই বিচার ব্যবস্থারও সংস্কার প্রয়োজন। হাইকোর্টে এখনও আওয়ামী লীগের কিছু দোসর-ফ্যাসিস্ট বসে আছে। যারা তাদের যোগ্যতার বলে সেখানে যায়নি। তোষামোদি আর তেলবাজি করে তারা সেখানে গিয়েছিল। তাদেরকে এই জায়গা থেকে অপসারণ করা প্রয়োজন। একই সাথে যারা এই জায়গাগুলোর জন্য যোগ্য তাদেরকে সেখানে বসাতে হবে।