
মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনীতিতে দল-বদল শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গ্রুপ ও দল বেধে বিএনপিতে যোগদান করছে। আর এর নেপথ্যে দলে রমরমা কালো টাকার বাণিজ্য রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে বিএনপির ত্যাগী ও তৃণমুল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
কারণ কালো টাকার বিনিময়ে বিএনপির ত্যাগীদেরকে বঞ্চিত করে অনুপ্রবেশকারীরা বিভিন্ন পদ পদবী দখল ও পূর্বশত্রুতার অংশ হিসেবে কারো প্রতি প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে উঠেছে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদানের ঘটনাটি।
বিএনপির ত্যাগী ও তৃণমুল বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী নেতাকর্মীরা পলাতক ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার পতনের কিছু দিন পর থেকে পাল্টাতে থাকে রাজনীতির হিসাব নিকাশ, শুরু হয় দল বদলানোর পালা। গত ১৫ ডিসেম্বর বিএনপি নেতা তানিম আহমদের বাসায় শুরু হয় আওয়ামী লীগ নেতাদের যোগদান অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্টানে আওয়ামীগ নেতা শুভেন্দু, রুসন মিয়া, ফুরকান মিয়া, মোসাদ্দিক, নয়ন, লিটন, আজিজ, রুহেল, বসির, রনি, মবশ্বির, ছামি, দেলোয়ারসহ অনেকে নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদান করেছেন। এনিয়ে সর্বস্থরের নেতাকমীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সুত্র জানায়, আলোচিত ৫ই আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পলানোর পর দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের অপরাধী ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান শুরু হলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন দলে যোগদান করছে। বর্তমানে অনেকেই বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, জায়গা দখল, অন্যকে মামলায় ফাসানো‘সহ নানা অপরাধে লিপ্ত রয়েছেন। ফলে ভাবমুর্তি বিনষ্ট হচ্ছে বিএনপির।
তবে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন জানান, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার সংবাদ পেয়েছি। দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ পর্যন্ত সারাদেশে ১৭শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।