টুডে সিলেট ডেস্ক :: রাজধানীতে ৯২৮ গ্রাম স্বর্ণসহ ছিনতাইকারী চক্রের ছয় সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বিধান চন্দ্র বিশ্বাস, সবুজ হাওলাদার, আল আমিন খান, তরিকুল ইসলাম, শফিকুল রহমান চুন্নু ও আজিম উদ্দিন।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত হতে ছিনতাই হওয়া ৯২৮ গ্রাম স্বর্ণ, বিভিন্ন মডেলের চারটি মোবাইল ফোন ও তিনটি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৯ ও ৩০ জানুয়ারি) পটুয়াখালী জেলার বাউফল ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ২৭ নভেম্বর কোতোয়ালি থানাধীন তাঁতি বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রদেশ বাবুর স্বর্ণের দোকান থেকে তার কর্মচারী রাজীব দাস বিক্রিত এক কেজি স্বর্ণ সরবরাহ করার জন্য রওনা দেয়। রাজিব রাতে দায়রা আদালত ভবনের সামনে পৌঁছলে একদল দুষ্কৃতকারী তার পথরোধ করে তার কাছে থাকা স্বর্ণ ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তিনি সময় ছিনতাইকারীদের আঘাতে আহত হয়। এ ঘটনায় ২৮ নভেম্বর রাজীব বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি ২৮ ডিসেম্বর ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগে হস্তান্তরিত হয়। মামলাটির তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত আসামিদের শনাক্ত করা হয়। ২৯ জানুয়ারি পটুয়াখালীর বাউফল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা বিধান বিশ্বাসকে লুণ্ঠিত ৫৮০ গ্রাম স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার করা হয়। বিধান বিশ্বাসের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সবুজ সরকার, তরিকুল ইসলাম ও আজিম নামক অপর তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ৩৪৮ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে ডিবি জানায়, কালিপদ নামক এক ব্যক্তি স্বর্ণ সরবরাহ করার সংবাদটি মূল ছিনতাইকারী চক্রের কাছে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা ঘটনাস্থলে একত্রিত হয়ে রাজীবকে আঘাত করে তার কাছে থাকা স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Editor-in-Chief and Publisher: Mohammed Imran Ali, Executive Editor: Ahmed Ferdous Shakar, News Editor: Ahia Ahmed. E-mail: news.todaysylhet24@gimal.com
www.todaysylhet.com