মহসিন রনি :: গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর। কাদা আর মাটির লেপনে তৈরি মাটির ঘরে যেমন মিলে প্রশান্তি তেমনি যেকোনো আবহাওয়াতে মিলে শীতলতা। এক কালে মানুষ প্রচুর আবহাওয়া আর খরতাপ থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিত মাটির ঘরে। ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে এক সময় মাটির ঘরই ছিলো সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাথা গোঁজার ঠাঁই৷ তবে কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সেই মাটির ঘর এখন বিলুপ্ত প্রায়। সিলেটে দিন দিন প্রবাসীর সংখ্যা বাড়ায় বিশাল পরিবর্তন এসেছে বিগত সময়ের চেয়ে। এখন সিলেটের বেশিরভাগ উপজেলাতেই পাকা বাড়ি দেখা যায়।
তবে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর যে একেবারে নেই তেমনটাও না। সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোলাপগঞ্জ উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় এখনো মাটির ঘর রয়েছে। সবুজের সমারোহ আর চোখধাঁধানো মাটির ঘরের এমন দৃশ্য শেষ কবে সিলেটের কেউ দেখেছে সেটা কারো জানা নেই। তবে সিনেমা কিংবা ছবিতে এমন দৃশ্য প্রায় দেখা গেলেও বাস্তবিক অর্থে এখন এমন দৃশ্য অনেকটা আকাশের চাঁদের মতো। জীবনযাত্রার মান উন্নত হওয়ার ফলে মানুষ এখন শহরমুখী। তবে ২ হাজার সাল পূর্ববর্তী প্রজন্মের কাছে এখনো মাটির ঘরের শীতলতার প্রশংসা মুখে মুখে।
আব্দুল করিম নামের এক ষাটোর্ধ যুবক বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের পরিবার নিয়ে মাটির ঘরে বাস করতাম। মাটির ঘরে বসবাসের কি যেন শান্তি বলে বুঝানোর মতো না। এর পর শহরমুখী হলাম বাড়িতে দালান বানালাম এভাবেই হারিয়ে গেলো মাটির ঘর। মাটির ঘরের শীতলতা আমাকে মুগ্ধ করতো।
মোহাম্মদ রহিম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, গ্রামে আগে মাটির ঘর দেখা যেতো। এখন তো সবাই বড় বড় দালান তৈরি করেছে। তবে এক সময় মাটির তৈরি ঘর বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আমাদের প্রজন্মের কাছে মাটির ঘর ছিল আবেগ।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেট জেলার সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের আসাম সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা মাটির তৈরি অনেক ঘরই স্মৃতি হিসেবে রাখা হয়। আমাদের সিলেটে যদি এভাবে রাখা যেত তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অনেক কিছু জানতে পারতো।
Editor-in-Chief and Publisher: Mohammed Imran Ali, Executive Editor: Ahmed Ferdous Shakar, News Editor: Ahia Ahmed. E-mail: news.todaysylhet24@gimal.com
www.todaysylhet.com