
টুডে সিলেট ডেস্ক :: রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সিলেটের খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরির মতো ঘটনার সাথে বেড়েছে নারী নির্যাতনের সংখ্যা। পুলিশ আগের মতো সক্রিয় না থাকায় বাড়ছে অপরাধ কর্মকাণ্ড এমনটাই বলেছেন সচেতন নাগরিকরা। তবে, স্থবিরতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে পুলিশ, সামর্থ্যের সবটুকু ঢেলে দিচ্ছে বাহিনী, এমনটাই দাবি কর্মকর্তাদের।
পুলিশের বিরুদ্ধে জনরোষ চরমে উঠায় ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পুড়িয়ে ফেলা হয় সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সহ জেলার বেশ কিছু পুলিশ ফাঁড়ি। এমন বাস্তবতায় এখনো স্বরুপে ফিরতে পারেনি পুলিশ, ফলে বিভাগ জুড়ে বাড়েছে অপরাধ কর্মকাণ্ড।
সিলেটবাসীর অভিযোগ বিগত সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় থাকায় অপরাধ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতি তারা আগের মত সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না। এতে বাড়েছে আতঙ্ক, একই সাথে অপরাধ কর্মকাণ্ড।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে পরবর্তী ৮ মাসে বিভাগে ১১৮টি হত্যাকাণ্ড, অর্ধশতাধিক ডাকাতি ও ছিনতাই এবং ২২৮ টি চুরির ঘটনা ঘটে। একই সাথে বেড়েছে নারী নির্যাতনের সংখ্যা।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন বলেন, পুলিশকে আমরা আগের মত সক্রিয় ভাবে ভূমিকায় দেখছি না। যার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। একই সাথে বিভাগজুড়ে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে নারী নির্যাতন। আমরা প্রায়ই এসব ঘটনা শুনতে পাচ্ছি। অপরাধ কর্মকাণ্ড বন্ধে পুলিশ পুনর্গঠন ও সামর্থ্য বাড়ানো জরুরি। সেটা সম্ভব হবে সঠিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে একটি সরকার ক্ষমতায় আসলে।
সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, পুলিশের মধ্যে কিছু স্থবিরতা এসেছিল, তবে সেটি কাটিয়ে উঠে নতুন ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। অপরাধ দমনে সামর্থ্যের সবটুকু ঢেলে দিচ্ছে বাহিনিটি। নারী নির্যাতনের বিষয়েও দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ।
পলিশের তৎপরতা বৃদ্ধির সাথে সাথে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম আরও গতিশীল করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।