টুডে সিলেট ডেস্ক :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের জগদীশপুর বড়খালের ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি তিন বছরেও সংস্কার হয়নি। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ২৫ গ্রামের মানুষকে। সেতুটি মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকায় সবধরনের ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ছোট ছোট যান ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সেতুর দুটি পিলার দেবে গিয়ে অনেকটা হেলে পড়েছে। মাঝের দুটি পিলারের অংশ ফেটে গেছে। ভেঙে পড়েছে সেতুর একাংশের রেলিং। সেতুর পূর্বাংশে ধসে পড়া সংযোগ সড়ক মাটি দিয়ে ভরাট করে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের বড়খালের ওপর এলজিইডির আওতায় নির্মিত পুরনো সেতুটি ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার পানির স্রোতে সেতুর মাঝের দুটি পিলার নিচের দিকে দেবে যায় এবং সেতুর একাংশের অ্যাপ্রোচ ধসে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওই সেতু দিয়ে তেলিকোনা-চন্ডিচর সড়কে বছরখানেক ধরে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ থাকার পর স্থানীয়দের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে মাটি ভরাট করে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।
তবে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় সব ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ সেতু দিয়ে উপজেলা সদরের পাশাপাশি জেলা শহরে যোগাযোগ করে আসছেন ইউনিয়নের জগদীশপুর, শ্রীধরপাশা, গলাখাই, কামারখাল,, কান্দারগাঁও, কাদিপুর, নোয়াগাঁও, তেলিকোণ গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার দিরাই ও শান্তিগঞ্জের কমপক্ষে ২৫টি গ্রামের লোকজন।
কান্দারগাঁও গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, তিন বছরেও সেতু মেরামত না হওয়ায় এলাকাবাসী খুবই দুর্ভোগ নিয়ে চলাফেরা করছেন। বন্যার স্রোতে সেতুর পিলার নিচের দিকে দেবে যায় এবং সংযোগ সড়ক ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বছরখানেক বন্ধ থাকার পর স্থানীয়দের উদ্যোগে কিছু সংস্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
জগদীশপুর গ্রামের মিলন মিয়া বলেন, হেলে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে আমরা কষ্ট করে যাতায়াত করছি। বর্ষায় খালে পানি বৃদ্ধি পেলে সেতুটি আরও ঝুঁকির মুখে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। ঘটতে পারে দুর্ঘটনাও।
স্থানীয় বাসিন্দা সমাজসেবক আব্দুস সোবহান বলেন, কলকলিয়া ইউনিয়ন, দিরাই ও শান্তিগঞ্জের কমপক্ষে ২৫ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ জগদীশপুর সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন। জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রæত সেতুটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য হোসনা বেগম বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সেতু দিয়ে আমাদের ইউনিয়নের কমপক্ষে ১০ গ্রামের লোকজনের পাশাপাশি পাশের দিরাই ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার আরও ১৫ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে আসছেন প্রতিনিয়ত। সেতু সংস্কারের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগে বারবার দাবি জানিয়ে আসছি।
জগন্নাথপুর উপজেলার প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাইট পরিদর্শন করে মালামালও এনেছে। অচিরেই কাজ শুরু হবে।
Editor-in-Chief and Publisher: Mohammed Imran Ali, Executive Editor: Ahmed Ferdous Shakar, News Editor: Ahia Ahmed. E-mail: news.todaysylhet24@gimal.com
www.todaysylhet.com