নিজস্ব প্রতিবেদক :: বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় শালিস করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার যুবক আব্দুল আহাদ (২৪)। রবিবার (২৫ মে) দিবাগত রাতে মিশিগান রাজ্যের ডেট্রয়েট শহরের জেইন পার্ক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আব্দুল আহাদ।
সোমবার (২৬ মে) মিশিগান রাজ্যের ডেট্রয়েট শহরের ‘মসজিদে নূর’ মরহুমের জানাযার নামাজ শেষে আব্দুল আহাদের মরদেহ দাফন করা হয়।
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আব্দুল আহাদ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের দোহাল (পীরবাড়ি) গ্রামের শফিক আলী ও সুরমা বেগম দম্পত্তির সন্তান। ৩ ভাই ও ও ১ বোনের মধ্যে নিহত আব্দুল আহাদ ২য়। ‘শফিক-সুরমা’ দম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে স্বপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যের ডেট্রয়েট সিটির ম্যাগডুগাল স্ট্রিটে বসবাস করে আসছেন।
এছাড়া একই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের হ্যামট্রিক শহরের বাসিন্দা এনাম উদ্দিন দৌলার পুত্র মাসুম আহমদ এবং আব্বাস উদ্দিনের পুত্র রুমন আহমদ গুরুতর আহত হয়ে ডেট্রয়েট শহরের হেনরিফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে মাসুম আহমদ লাইফ সাপোর্টে আছেন। আহত ‘মাসুদ-রুমন’র গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতলা ইউনিয়নের গোলাটিকর গ্রামে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যের ডেট্রয়েট শহরের জেইন পার্কে রোববার (২৫ মে) দিবাগত রাতে ‘দুটি গাড়ির ধাক্কা’কে কেন্দ্র করে সংগঠিত সংঘর্ষেৎর ঘটনা নিস্পত্তি করার জন্য অন্যান্যদের সাথে নিহত আব্দুল আহাদও বসেন। আলাপ-আলোচনায় বিষয়টি মিমাংশা হওয়ার পরিবর্তে সেখানে দুটি পক্ষ আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় একটি পক্ষের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ঘটনার সালিশ করতে যাওয়া বিশ্বনাথী যুবক আব্দুল আহাদ। একই সময়ে গাড়ি চাপা দিয়ে আহত করা হয় বিয়ানীবাজারের ‘মাসুম ও রুমন’কে।
এব্যাপারে নিহত আব্দুল আহাদের চাচা পীর এনামুল হক বলেন, সেই সংঘর্ষের সাথে আব্দুল আহাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। সে তার এক বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বিষয়টি সালিশ করতে গিয়ে ছিলো। কিন্তু বিষয়টি সালিশে সমাধান হওয়ার পরিবর্তে বিষয়টি আরোও বড় সংঘর্ষে রুপ নেয়। এসময় একটি পক্ষের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলের মৃত্যুবরণ করে আমার ভাতিজা আব্দুল আহাদ। আব্দুল আহাদ তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় পরিবারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমায়। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছিলো বাবা-মায়ের দ্বিতীয় সন্তান।
Editor-in-Chief and Publisher: Mohammed Imran Ali, Executive Editor: Ahmed Ferdous Shakar, News Editor: Ahia Ahmed. E-mail: news.todaysylhet24@gimal.com
www.todaysylhet.com