
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মাদকের ৩টি মামলাসহ, নারী হত্যা, ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাইয়সহ মোট ১৬টি মামলায় আটক হয়েছেন তালিকাভূক্ত একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারী মো. তবারক আলী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে সোমবার (৩০ জুন) ভোর ৫টার দিকে মো. তবারক আলী ও তার স্ত্রী সাবিনা আক্তারকে আটক করা হয়।
মো. তবারক আলীর বয়স ৩৭ বছর। সে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ফাটাপইন গ্রামের মৃত আলহাজ আলীর ছেলে। অন্যদিকে সাবিনা আক্তারের বয়স ২৯ বছর, তিনি মো. তবারক আলীর স্ত্রী।
নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, মাদক ব্যবসা করে তবারক আলী সিলেটের বিশ্বনাথসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্যের বড় বড় ডিল করেন। বিভিন্ন স্থানে তিনি ‘ইয়াবা সুমন’ নামেও বেশ পরিচিত।
অন্যদিকে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ জানায়, সেনাবাহিনীর হাতে আটককৃত তবারক আলীর উপর ৩টি মাদক মামলাসহ, নারী হত্যা, ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাইয়সহ মোট ১৬টি মামলা রয়েছে। তবারক আলী একটি মামলার আড়াই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এছাড়া আরও একটি মারামারির মামলায় এজহারভূক্ত আসামি তিনি।
সেনাবাহিনীর প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সোমবার ভোর ৫টার দিকে সিলেট ওসমানীনগর আর্মি ক্যাম্পের আওতাধীন সিলেটের বিশ্বনাথ থানার ১ নম্বর মামলার ১ নম্বর আসামিকে ফাটাপইন এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী তবারক আলী (৩৭) ও তার স্ত্রী সাবিনা আক্তারকে (২৯) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দা বটি ৪ টি, চাপাতি ৫ টি, দা ৩ টি, বড় ছুড়ি ১ টি, ছোট ছুরি ১৪ টি, মোবাইল অ্যান্ড্রয়েড ২ টি, মোবাইল বাটন ২ টি, চেক বই মোট ১৬ টি, মোবাইল সিম ১২ টি, ডেবিট কার্ড ৩ টি, নগদ টাকা ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের বিশ্বনাথ থানার হস্তান্তর করা হয়।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সেনাবাহিনীর অভিযানে আটককৃত মো. তবারক আলীকে আটক করা হয়েছে এবং পরে সেনাবাহিনী তাকে থানায় হস্তান্তর করে। দুইটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।’