
টুডে সিলেট ডেস্ক :: সুইজারল্যান্ডের জেনেভা ভিত্তিক ইউনাইটেড পিপল গ্লোবাল এবং আমেরিকার হারিকেন আইল্যান্ড সেন্টার ফর সাইন্স এন্ড লিডারশীপের যৌথ উদ্যোগে জাতিসংঘের ১৭টি এসডিজি নিয়ে কাজ করার জন্য সম্ভাবনাময় তরুণদের মধ্য থেকে নেতৃত্ব তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে ‘ইউপিজি সাস্টেইন্যাবিলিটি লিডারশীপ প্রোগ্রাম-২০২৫’। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের ১২০টি দেশের প্রায় ১৪,০০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে ১ম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে শর্টলিস্টের মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় ৯ সপ্তাহের ট্রেনিং সেশন আয়োজন করা হয়।
ইউপিজি মূলত তরুণ নেতৃত্ব তৈরির মাধ্যমে প্রত্যেককে নিজ সম্প্রদায়ের সমস্যা যেমন: দারিদ্র্য, ক্ষুধা, লিঙ্গবৈষম্য এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি সমাধানের জন্য প্রস্তুত করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। এটি টেকসই বিশ্ব নির্মাণে এসডিজি এর ১৭টি লক্ষ্য অর্জনের ভিত্তিতে আগ্রহী তরুণদের নিয়ে কাজ করে। নয় সপ্তাহের এই প্রোগ্রাম শেষে ৫০০ জন শিক্ষার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান এবং ৬০ জন শিক্ষার্থীকে আমেরিকার হারিকেন আইল্যান্ডে ফুল ফান্ডিংয়ে এক সপ্তাহের জন্য ট্রেইনিংয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
‘ইউপিজি সাস্টেইন্যাবিলিটি লিডারশীপ প্রোগ্রাম -২০২৫’-এ শর্টলিস্টে নির্বাচিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিন ইয়াসমিন বলেন, “আমি আমার ক্লাসমেট নুপুর খানম এর মাধ্যমে ইউপিজি প্রোগ্রামের সম্পর্কে জানতে পারি। তার উৎসাহ, পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা আমাকে এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আমার সহপাঠী, বন্ধুবান্ধব, সিনিয়র, জুনিয়র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিনি ট্রেনিং সেশন আয়োজন করি, যেখানে তাদের বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করা হয় এবং এসব সমস্যা প্রতিরোধে কীভাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখা যায় তা আলোচনা করা হয়। এছাড়া আমি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিশুদের মাঝে গুণগত শিক্ষা অর্জনের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি, শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে তোলা, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে টেকসই বিশ্ব গঠনে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরি।”
শারমিন আরও বলেন, “ইউপিজি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্য অর্জনে উৎসাহী তরুণদের একত্রিত করে তাদের নেতৃত্বগুণ, সচেতনতা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে তুলছে। এটি তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ, সহযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করছে যা ভবিষ্যতের জন্য টেকসই সমাধান তৈরি করতে সাহায্য করছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এই প্রোগ্রামটি আমার সুপ্ত প্রতিভা প্রকাশ ও দক্ষতা বিকাশের এক অসাধারণ সুযোগ দিয়েছে। আমি আনন্দিত যে এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমি আমার সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে অবদান রাখতে পারছি। আমি মনে করি এই ধরনের প্রোগ্রামে সকল তরুণের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও সমস্যা-মুক্ত বিশ্ব উপহার দেওয়া সম্ভব হয়।”