২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

add

বড়লেখায় গ্রামীণ ইটের রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম

todaysylhet.com
প্রকাশিত ১৯ আগস্ট, সোমবার, ২০২৪ ১৭:০৯:৩৯
বড়লেখায় গ্রামীণ ইটের রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে গ্রামীণ ইট সলিংয়ের রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সঠিক পরিমাণ বালু না দিয়ে কাঁদার ওপর ইট বিছিয়ে সলিং করায় এলাকাবাসী ভোগান্তি পোহাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (কাবিখা) কর্মসূচি, অর্থবছর ২০২৩-২০২৪ এর তৃতীয় পর্যায় নির্বাচনী খাত, প্রকল্পের দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গৌড়নগর গ্রামের দুলা মিয়ার বাড়ি হতে গৌড়নগর পাঞ্জেগানা মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার ইটসলিং কাজে ৬ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ মেলে; যার বাজার মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। প্রকল্প কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী দুই কিস্তিতে বরাদ্দের গম উত্তোলন করেন। ৩০ জুনের মধ্যে বরাদ্দ অনুযায়ী ২৭০ ফুট রাস্তায় ইটসলিং করার কথা থাকলেও তিনি মাত্র ১৯৫ ফুট ইটসলিং করেন।

এলাকাবাসী এ নিয়ে অভিযোগ করলে গত ১৭ জুলাই সঠিকভাবে বালু না দিয়ে কাদারও পর আরও প্রায় ৫০ ফুট ইটসলিং কাজ করেন ইউপি সদস্য লিয়াকত। কিন্তু এলাকার জনগণ এতে কোনো উপকার পাননি।

ভুক্তভোগীরা বলেন, স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী দুই লাখ টাকার বরাদ্দ কাজের মাত্র দুই তৃতীয়াংশ করে বাকি অর্থ আত্মসাৎ করেন। ওই কাজও তিনি সঠিকভাবে করেননি। যে পরিমাণ বালু দেওয়ার কথা তা না দিয়ে কাদামাটির ওপর ইট বিছিয়ে দেন। বাকি কাজের তাগিদ দিলে তিনি আজেবাজে কথা বলেন।

পরবর্তীতে গণমাধ্যমকর্মীরা এ বিষয়ে কথা বলতে শুরু করলে তিনি আরও ৫০ ফুট সলিং করেন। কিন্তু ইটের ফাঁক বন্ধ না করে প্রয়োজনীয় বালু না দিয়ে কাঁদার ওপর ইট সলিং করায় ওই রাস্তায় চলাচলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী দাবি করেছেন, বরাদ্দ অনুযায়ী আমি কাজ করেছি। প্রকল্প অনুযায়ী কাজ কিছুটা কম হওয়ায় পরবর্তীতে (১৭ জুলাই) বাকি অংশের কাজ করেছি। আমি আমার কাজে কোনো অনিয়ম করিনি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান জানান, প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না করার অভিযোগ পেয়ে তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করে সত্যতা পান। অবশিষ্ট অংশ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রকল্প কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য লিয়াকত আলীকে বলেছিলেন। তিনি বাকি কাজ করেছেন জানিয়েছেন। কাজে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় প্রকল্পটি আবারও পরিদর্শন করে দেখব। কোনো অনিয়ম পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।