{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}
টুডে সিলেট ডেস্ক :: অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯’ রহিত করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
অধ্যাদেশে বলা হয়, ‘যেহেতু জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬৩ নং আইন) রহিত করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; এবং যেহেতু সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির নিকট তা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে; সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করলেন।
এই অধ্যাদেশ জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪ নামে অভিহিত হবে। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হবে। ’
গত ২৯ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
ওই দিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিগত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ১৫/০৫/২০১৫ তারিখে ওই আইন অনুসারে বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুবিধাদি প্রদানের গেজেট জারি করা হয়।
কেবল একটি পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য আইনটি করা হয়েছিল, যা একটি সুস্পষ্ট বৈষম্য। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল বৈষম্য দূরীকরণে দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করেছে।
‘বর্তমানে সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায়’ রয়েছে বিধায় এ বিষয়ে আশু ব্যবস্থা নিয়ে আইনটি রহিতকল্পে অধ্যাদেশ জারি করা প্রয়োজন। এ প্রেক্ষাপটে, উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠক কর্তৃক ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়।