২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

add

১০ বছর পর আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড

todaysylhet.com
প্রকাশিত ১৪ সেপ্টেম্বর, শনিবার, ২০২৪ ২১:১৭:৩১
১০ বছর পর আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি :: সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক যুবককে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় প্রায় ১০বছর পর আদালতের নির্দেশনায় মামলা রেকর্ড করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানাপুলিশ। ১০ই সেপ্টেম্বর সিলেটের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে উক্ত মামলা দায়ের করেন গোলাপগঞ্জ পৌর রণকেলি উত্তর এলাকার মৃত আওলাদ হোসেনের ছেলে সেলিম হাসান কাওছার। ২০১৫ সালের ১৫ জুলাইর ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাত জনের নামে আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ২দিনের মধ্যে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে। ১৩ই সেপ্টেম্বর রাতে থানাপুলিশ মামলাটি রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে। মামলা নম্বর ০৯।

মামলার আসামিরা হলেন- গোলাপগঞ্জ উপজেলার চৌঘরী গীর্দ গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আহাদ নুর মিয়া (৫৫), গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড ঘোগারকুল গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা একাধিক হত্যা মামলার আসামি লাভু আহমদ (৪০), গোলাপগঞ্জ ফুলবাড়ী গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছাদেক আহমদ (৬০), গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলের বড় ভাই ও জেলা পরিষদের সদস্য, দাড়িপাতন গ্রামের মৃত নুর মিয়ার ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফয়জুল ইসলাম ফয়ছল (৫৭), গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম ফজলুল আলম (৪৮), সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা ও সিলেট এয়ারপোর্ট থানার লাখাউড়া গ্রামের ফকির মিয়ার ছেলে রুবেল আহমদ (৩৫), বাঘা মাজরমহল্লার মৃত হাবিদ আলীর ছেলে বাহা উদ্দিন (৫০), উপজেলার আনছার মহল্লার শফিক উদ্দিনের ছেলে দুলাল আহমদ (৪২)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালে রাত অনুমান ১টায় সময় গোলাপগঞ্জ পৌর চৌমুহনীতে ১নম্বর আসামি আহাদের নির্দেশে ২নম্বর আসামি লাভু গুলি করে রাস্তায় ফেলার পর অন্যান্য আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর যখম করে। পরে স্থানীয়রা ওই যুবককে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তখনকার সময় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় থানাপুলিশ মামলা নেয়নি। এ ঘটনায় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন দপ্তরে অনেক অভিযোগ দিয়েও বাদী কোনো বিচার পাননি।

গোলাপগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহতদের ঘটনায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় উল্লেখিত মামলার আসামিরাও রয়েছেন।

এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আবু নাসেরের সাথে আলাপ করা হলে তিনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।