শাবিপ্রবি প্রতিনিধি :: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ভার্সিটি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই একটি মন্দির তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। এই শিক্ষার্থীরা বলছেন- তারা অনেকবার প্রশাসনের অনুমতি চেয়েছে। কিন্তু প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ায় নিজেরাই তৈরি করতে যাচ্ছেন মন্দির।
শনিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের সেন্ট্রাল অডিটরিয়ামের পিছনে গিয়ে দেখা যায়- সেখানে মাটি খুড়ে ইট, সিমেন্ট ও বালু ইত্যাদি সরঞ্জামাদি দিয়ে মন্দির বানানোর কার্যক্রম চলছে।
এসময় মন্দির বানাতে প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের (২০১৮-১৯ সেশন) শিক্ষার্থী দিপুরাম রায় বলেন, আমরা অনেকবার প্রশাসনের অনুমতি চেয়েছি। প্রশাসন আমাদের অনুমতি দেয়নি। ২০১৪ সালে তৎকালীন ভিসি আমাদের মন্দিরের জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছিন। তবে মন্দির বানানোর কোনো অনুমতি এখন পর্যন্ত পাইনি। ২০২৩ সালেও মন্দির বানানোর জন্য মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেও বাস্তবায়ন হয়নি। তাই আমরা নিজ উদ্যোগে মন্দির তৈরি করতে যাচ্ছি।
ফান্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা নিজেদের পক্ষ থেকে অর্থ দিয়ে এটা বানানোর কাজ শুরু করেছি।
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো স্থাপনা তৈরি কি বৈধ? এমন প্রশ্নের জবাবে দিপু বলেন- অনুমতি না পেলে আমরা কী করবো?
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের প্রার্থনার জন্য প্রশাসন অস্থায়ী ভিত্তিতে ইউনিভার্সিটি সেন্টারের (ইউসি) নিচতলায় একটি রুম বরাদ্দ দিয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যদি মন্দির নির্মাণের প্রয়োজন হয় তাহলে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে করা প্রয়োজন। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নিলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে, এমনকি সেটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে মোড় নিতে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বরত অধ্যাপক ড. সৈয়দ বদিউজ্জামান ফারুক বলেন, সনাতনধর্মী শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছ থেকে মন্দির তৈরির কোনো অনুমতি নেয়নি। অনুমতি ছাড়া এমন কাজ বে-আইনি। তাদেরকে ডাকা হয়েছে এবং এ বিষয়ে শান্তিপূর্ণ সামাধান করা হবে।