বিনোদন ডেস্ক :: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভ নিজেকে শতাধিক সন্তানের জনক বলে দাবি করেছেন। বিশ্বের অন্তত ১২ টি দেশের বিভিন্ন বাড়িতে তার সেসব সন্তান বড় হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
রুশ বংশোদ্ভূত এই তথ্যপ্রযুক্তির উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, শুক্রাণু দানের মাধ্যমে এই ‘সৌভাগ্য’ অর্জন করেছেন তিনি। সাম্প্রতিক এক টেলিগ্রাম পোস্টে তিনি বলেন, ১৫ বছর আগে প্রথম শুক্রাণু দান করেন তিনি।
নিজের প্রথম শুক্রাণু দানের স্মৃতিও নেটিজেনদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা। পোস্টে এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, “আমার এক বন্ধু একদিন আমাকে বলল যে তার এবং তার স্ত্রীর পিতামাতা হওয়ার খুব ইচ্ছে, কিন্তু ফার্টিলিটি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। সে আমাকে অনুরোধ করল যে আমি যেন তার পরিচিত একটি আইভিএফ ক্লিনিকে গিয়ে আমার শুক্রাণু দান করি।”
“প্রথমে তার প্রস্তাব শুনে আমি খুব হেসেছিলাম, কিন্তু সে ছিল নাছোড়বান্দা। ফলে এক সময় আমাকে তার অনুরোধ রাখতেই হলো।”
যেসব ক্লিনিকে তিনি শুক্রাণু দান করেছেন, সেসব ক্লিনিকের চিকিৎসকরা তার বীর্যের গুণগত মানের প্রশংসা করেছেন উল্লেখ করে টেলিগ্রাম পোস্টে দুরভ বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে শুক্রাণু দানকে আমি একপ্রকার সামাজিক দায়িত্ব বলে মনে করি। তবে এটা সত্যি যে যতবার আমি শুক্রাণু দানের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি, ততবারই নিজেকে পাগল মনে হয়েছে।”
“তবে এটাও সত্যি যে আমার শুক্রাণু দানের কারণে এই বিশ্বের ১২টি দেশের শতাধিক নিঃসন্তান পরিবারের দুঃখ ঘুচেছে, তারা সন্তান লাভ করেছে। যদিও অনেক বছর ধরে আমি শুক্রাণুদান বন্ধ রেখেছি, কিন্তু কেন যেন আমার মনে হয়—যেসব আইভিএফ ক্লিনিকে আমি শুক্রাণুদান করেছি, সেসবের মধ্যে অন্তত একটিতে আমার শুক্রাণু এখনও হিমায়িত অবস্থায় রয়েছে।”
“আমি ঠিক করেছি আমার ডিএনএ কোড আর গোপন না রেখে প্রকাশ করব। কারণ আমি চাই আমার জৈবিক সন্তানরা যেন পরস্পরকে খুঁজে পায়।”
ব্যক্তিগত জীবনে এখনও বিয়ে করেননি পাভেল দুরভ। পোস্টে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার অতীত জানার পর কোনো নারী আমাকে বিয়ে করতে চাইবেন কি না, তা নিয়ে খানিকটা অনিশ্চয়তা আমার রয়েছে, তবে শুক্রাণু দানের জন্য কোনো অনুতাপে আমি কখনও ভুগি না।”
এদিকে, দুরভ এই পোস্ট দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ সম্পর্কে রসিকতা করেছেন পোস্ট দিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। পোস্টে তিনি বলেন, “যার শতাধিক সন্তান রয়েছে, তিনি চাইলেই একটি সৈন্যদল গড়ে তুলতে পারেন; যেমটা করেছিলেন চেঙ্গিস খান।”