নিজস্ব প্রতিবেদক :: কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জামিন পেয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে সিলেট অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল মেজিস্ট্যাট আদালতে তুলে পুলিশ এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে আদালতটির বিজ্ঞ বিচারক মানিককে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন।
অপরদিকে, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের আইনজীবী আদালতে এই মামলায় জামিন আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর করেন আদালত। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অন্যান্য মামলা থাকায় তাঁকে সিলেট কারাগারেই রাখা হচ্ছে। পরবর্তীতে ঢাকায় স্থানান্তর করা হবে।
সিলেট সদর কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. জমশেদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে একটি জঙ্গল থেকে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহায়তায় আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরদিন শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ওই দিন বিকালে আদালতে হাজির করলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে পাসপোর্ট আইনে মানিকের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
গত ২৪ আগস্ট সিলেট আদালতে প্রবেশের সময় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা বিক্ষুব্ধ জনতা শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে বেধড়ক কিল-ঘুষি মারেন। তার অণ্ডকোষেও গুরুতর আঘাত লাগে। অনেকে ডিম ছোড়ার পাশাপাশি জুতাও নিক্ষেপ করেন। আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওসমানীতে তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়।
১২ সেপ্টেম্বর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় মানিককে ছাড়পত্র (ডিসচার্জ) দেয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত এদিন দুপুরে তাকে ডিসচার্জ দেওয়া। পরে কড়া নিরাপত্তা ও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে হাসপাতাল থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। শামসুদ্দিন মানিকের হার্টে সমস্যা আছে। ১০ বছর আগে বাইপাস সার্জারি করেছিলেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে।