কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :: বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–কে অবমাননা করায় অণুজীব বিজ্ঞানী জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
নবীকে কটাক্ষ করে মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত দেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলমের বড় ভাই সফর মিয়া।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জের টুকেরবাজারে এক সংবাদ সম্মেলন করে এমন ঘোষণা দেন তিনি। এসময় পরিবারের অন্যান্য সদস্য, আলেম সমাজের প্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সফর মিয়া বলেন, ‘আমরা চার ভাই। আমি সবার বড়। অণুজীব বিজ্ঞানী জাহাঙ্গীর আলম দ্বিতীয়, বাকী দুজন জহর মিয়া ও জলিল মিয়া। জাহাঙ্গীর আলম প্রায় ৩০ বছর ধরে আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। তার সাথে এমনিতেই আমাদের সম্পর্কের দূরত্ব বিরাজমান। সম্প্রতি হযরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে ফেইসবুকে তার অবমাননাকর পোস্ট ও শেয়ারিংয়ে অন্য মুসলমানদের মতো আমরাও ব্যথিত-মর্মাহত হয়েছি। আমাদের হৃদয়েও রক্তক্ষরণ হয়েছে। মুহাম্মদ (সা.) মুসলমানদের কলিজার টুকরা। নবীর অবমাননা আমরা কেউই বরদাশত করতে পারি না। তাই আমরা পারিবারিকভাবে এই অবমাননার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এর আগেও আমরা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। আজ আবারও সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করলাম। আজ থেকে আমার পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই এবং থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জাহাঙ্গীর আলমের ফেইসবুক আইডি বন্ধ করে দেওয়ায় এবং তার সাথে যোগাযোগের আর কোন উপায় না থাকায় বাধ্য হয়েই আমরা সংবাদ সম্মেলন করতে এসেছি। নবীকে কটুক্তি করার প্রতিবাদে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সকল ধরনের কর্মসূচির সাথে আমরা একাত্মতা ঘোষণা করছি।’
সফর মিয়া আরও বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষ নিয়ে আমার পরিবারের কিছু সদস্য আন্দোলনকারীদের হেয় প্রতিপন্ন করে ফেইসবুকে পোস্ট ও মন্তব্য করেছে। এজন্য আমি পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে এমন আচরণ কেউ দেখালে তার যথোপযুক্ত বিচার হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে সফর মিয়া জানান, ‘টুকেরবাজারের ‘তাহের প্লাজা’ আমাদের তিন ভাইয়ের অর্জিত সম্পত্তি। এটি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। এ কারণে এই সম্পত্তিতে জাহাঙ্গীর আলমের কোন অংশীদারিত্ব নেই। তবে আমাদের পিতার ত্যাজ্যবিত্তে সকল রেকর্ডীয় সম্পত্তির ভাগ সেও পাবে।’
এর আগে হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট শেয়ার করেন উপজেলার টুকের বাজারের বাসিন্দা ও বর্তমানে আমেরিকার টেক্সাসের ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টন কলেজ অব ফার্মেসির সহকারী অধ্যাপক অণুজীব বিজ্ঞানী জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে ও উপজেলা বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান সফর মিয়ার ভাই। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আব্দুল কাইয়ুম মাস্টার ও মাওলানা আনোয়ার শাহ কোম্পানীগঞ্জি।