টুডে সিলেট ডেস্ক :: ওসমানীনগরে সাদিপুর ইউনিয়নের সাদি খালের লুম বিল নিয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে অবৈধ দখল এবং বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় মৎস্যজীবীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করছে।
লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী, লুম বিলটি উন্মুক্ত জলাশয় হিসেবে কয়েকটি গ্রামের শতাধিক জেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তবে গত ৫ আগস্টের পর মানিক মিয়া ও তার সহযোগী ফরহাদ মিয়া, ছইফুল মিয়া, জালাল মিয়া, এবং হারুন মিয়া বিলটি দখল করেন এবং ৮৭ হাজার টাকায় ভরাউট গ্রামের ডায়মন্ড নামক এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর থেকে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন, যার ফলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
ডায়মন্ড জানান, আমরা কয়েকজন মিলে বিলের দখল ৮৭ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি, তবে এখনো দখল বুঝে পাইনি।
অন্যদিকে, মানিক মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, লুম বিলটি সরকারি ইজারার নয়। আমাদের পাঁচহাটি পঞ্চায়েত মিলে বিলের দখল বিক্রি করা হয়েছে। এর আগেও এই পদ্ধতিতে দখল বিক্রি করে সেই অর্থ এলাকার উন্নয়নে ব্যয় করা হতো।
বিলের আইনি অবস্থান সম্পর্কে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসরুপা তাসলিম বলেন, সাদি খালের লুম বিলটি সরকারি উন্মুক্ত বিল হিসেবে চিহ্নিত। এখানে জেলেরা উন্মুক্তভাবে মাছ ধরতে পারেন। তবে ইজারা সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। এ বিষয়ে উপজেলা বা জেলা প্রশাসন বলতে পারবে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমা দাস জানান, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্তের জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।