কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে (বাংকার) এলাকা ছিল সংরক্ষিত। সেই সংরক্ষিত বাংকার এলাকা এখন অরক্ষিত। রোপওয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আরএনবি সদস্যদরা না থাকায় বাংকারের জায়গা থেকে চলছে রাতদিন পাথর লুটপাট।
বৃহস্পতিবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা সুলতানা বাংকারে পাথর লুটপাটের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
এসময় বাংকার থেকে পাথর লুটপাটের সাথে জড়িত আবুল, রুজেল ও মাইনুলকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে এলাকার চারিদিকে কয়েক শত মানুষ গর্ত করে পাথর তুলছে। সেই পাথর তারা সেখান থেকে নৌকায় করে ভোলাগঞ্জ ১০নম্বর, কালাইরাগ, কালিবাড়ী ও কলাবাড়ী এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে। সেখান থেকে পাথর ট্রাক যোগে সিলেটের ধোপাগুল এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে রোপওয়ের নিরাপত্তাবাহিনী আরএনবি সদস্যদের গত ৬ আগষ্ট রাতে মারধর করে দুষ্কৃতিকারীরা। পরদিন সেখান থেকে তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়। তখন থেকেই শুরু হয় বাংকারে লুটপাট। বিজিবির কালাইরাগ, ১০ নম্বর ও পাথর কোয়ারি ক্যাম্প বাংকারের আশপাশ থাকলেও তাদের কোন প্রদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। শ্রমিকদের অভিযোগ বিজিবির নৌকার মাঝিদের ম্যানেজ করে পাথর আনতে হয়। তাদেরকে ম্যানেজ না করলে নৌকা ধরে নিয়ে যায় বিজিবি।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা জানান, ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে থেকে পাথর চুরির বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ জনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাদাপাথর ও বাংকার এলাকা থেকে পাথর চুরির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।