২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

add

রোহিঙ্গা সংকটকে ‘তাজা টাইম বোমা’ বললেন ড. ইউনূস

todaysylhet.com
প্রকাশিত ০৪ অক্টোবর, শুক্রবার, ২০২৪ ২৩:৫৩:০৮
রোহিঙ্গা সংকটকে ‘তাজা টাইম বোমা’ বললেন ড. ইউনূস

টুডে সিলেট ডেস্ক :: দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত রোহিঙ্গা সংকটকে একটি তাজা টাইম বোমা অভিহিত করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এটি যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে।

 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিন্টালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

 

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পুরো বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয় হলো, রোহিঙ্গা সংকট একটি তাজা টাইম বোমা, এটি যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে।

 

যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও আন্তর্জাতিক সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে ড. ইউনূস বলেন, এ সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের হাতে নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতে।

 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিষয়টি উত্থাপন করতে থাকব। মালয়েশিয়া আমাদের সহযোগিতা করবে। আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। এটি এমন এক বিষয় যা আমাদের যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করতে হবে।

 

ডা. ইউনূস বলেন, তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। এটি মালয়েশিয়ার জন্যও একটি সমস্যা। সেখানে অল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা রয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, এটি বাংলাদেশের একার সমস্যা নয়, মালয়েশিয়ারও সমস্যা। আমাদের এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে এবং আমরা আসিয়ান, মালয়েশিয়ার সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করব।

 

রোহিঙ্গা সংকটের দুটি দিক তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, গত সাত বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বছরে গড়ে ৩২ হাজার শিশু জন্ম নিয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৪০০-৫০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন।

 

তিনি বলেন, কক্সবাজারে অবস্থিত আশ্রয় শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গা তরুণদের একটি পুরো নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে। এটি ক্ষুব্ধ তরুণদের একটি প্রজন্ম।

 

তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, আমি এই উদ্বেগের কথা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছি।

ইউনূস বলেন, মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।

 

তিনি বলেন, এই সমস্যার একটি আন্তর্জাতিক সমাধান খুঁজতে মালয়েশিয়া আসিয়ান ও আন্তর্জাতিক ফোরামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ এখন কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।