
নিজস্ব প্রতিবেদক :: দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ কর্মী মোহাম্মদ রুনু আহমদ হত্যা মামলার তদন্ত নতুন মোড় নিয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্রশিবির ক্যাডার মো. রেদোয়ান হোসেনসহ বাকিদের হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ। গতকাল ১৯ আগস্ট (সোমবার) তাদের বাড়িতে বিশেষ অভিযান চালায় বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। তবে হন্য হয়ে খোঁজার পরেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবদুলাল ধর।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয় ছাত্রলীগ কর্মী রুনু। দীর্ঘ দিন থেকে রুনু হত্যার তদন্তে কোনো অগ্রগতি না থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মামলাটির তদন্তে নতুন মোড় নেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রশিবিরের ক্যাডার মো. রেদোয়ান হোসেন তার দলবল নিয়ে ছাত্র শিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে কলেজ ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে জড়ান এক পর্যায়ে গুলিতে নিহত হয় ছাত্রলীগ কর্মী মোহাম্মদ রুনু আহমদ। এ ঘটনার একদিন পর ৭ ফেব্রুয়ারি থানায় বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম পল্লব বাদি হয়ে মামলা করেন যেখানে মো: রেদোয়ান হোসেনকে প্রধান আসামি করে আরো ৫ জনের নামে মামলা করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যার মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি না থাকলে সরকার পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে মামলার বেশ অগ্রগতি দেখা গেছে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর প্রতিবেদককে বলেন, ছাত্রলীগ কর্মী রুনু হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং আমাদের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই বিষয়ে খুব জোর দিয়েছে।