১২ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

add

বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষকরা, ৬০ শতাংশ চাষাবাদ সম্পন্ন

todaysylhet.com
প্রকাশিত ০৪ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২৫ ১৩:৩৫:৫৬
বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষকরা, ৬০ শতাংশ চাষাবাদ সম্পন্ন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: প্রণোদনার বীজ-সার ও মনু নদীর সেচ প্রকল্পের পানি পেয়ে মৌলভীবাজারের কাউয়াদিঘি হাওরসহ দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকি এবং জেলার সবক’টি হাওর ও আশপাশের ফসলি জমিতে বোরো চাষাবাদের ধুম পড়েছে। চাষের অনুকূল পরিবেশে এরই মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ চাষাবাদ সম্পন্ন হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, বোরোর ফলন বাড়াতে এ বছর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মনু-সেচ প্রকল্পভুক্ত এলাকায় মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার কাউয়াদিঘি হাওরপাড়ে আগেভাগেই বোরো চাষ শুরু হয়। মাঘের কনকনে শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকেই জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকিসহ হাইল ও কাইঞ্জার হাওরেও বোরো চাষের ধুম পড়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ৪৭ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের বীজ পেয়েছেন ১৫ হাজার কৃষক এবং উফশী জাতের বীজ পেয়েছেন ৩২ হাজার কৃষক।

উপজেলার পানিসারা গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘সেচ সুবিধা ও প্রণোদনা পাওয়ায় আমরা এবার ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে বোরো চাষ করছি। যদিও শুরুর দিকে কিছু ক্ষতি হয়েছিল, তবে এখন পরিস্থিতি ভালো।’

মনু নদীর প্রকল্পভুক্ত কাউয়াদিঘি হাওরে মূলত ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়। দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে ১৩ হাজার ২২২ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে। সব মিলিয়ে জেলার সবকটি হাওরে এবার ২৭ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে।

জেলা হাওর রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক খসরু চৌধুরী জানান, সেচ, খাল সংস্কার এবং সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনার জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এতে উৎপাদন আরও ভালো হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ জানান, কৃষকদের প্রণোদনার সব ধরনের সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ বছর জেলায় ৬২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ২৩১ মেট্রিক টন চাল, যা গত বছরের তুলনায় ৫ হাজার ৫৮৯ মেট্রিক টন বেশি।