২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

add

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাদকসেবীদের আড্ডা!

todaysylhet.com
প্রকাশিত ০২ আগস্ট, শুক্রবার, ২০২৪ ১৬:২৩:৩৩
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাদকসেবীদের আড্ডা!

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি :: স্বাস্থ্যসেবার প্রতিষ্ঠানে আড্ডা জমিয়েছেন স্থানীয় মাদকসেবীরা। দিন বা রাতের যেকোনো সময়ে তাদের অবাধ বিচরণ কর্তৃপক্ষসহ আগত রোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজনকে বিব্রত করে তুলছে।

জানা গেছে, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জামে মসজিদের পরিত্যক্ত কোয়ার্টার ভবনের একটি কক্ষ এখন মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক সেবনকারীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক এলাকার পরিত্যক্ত ভবন এবং মসজিদ কোয়ার্টারের আশপাশে আরামদায়ক পরিবেশে মাদক সেবন করে যাচ্ছেন।

হাসপাতাল সূত্র আরও জানায়, এর ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা, কর্মচারী-স্টাফ, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী এবং রোগীর স্বজনরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সেই সঙ্গে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাসপাতালের আবাসিক এলাকার ভেতরে ছোটখাটো অনেক চুরি সংঘটিত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা নামলেই বেড়ে যায় তাদের আনাগোনা। বিশেষ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মসজিদ কোয়ার্টারের একজন স্টাফ (গাড়ি চালক) এর কক্ষে সন্ধ্যা রাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদকসেবীদের জম্পেশ আসর জমে। দীর্ঘদিন ধরে এসব কার্যক্রম অনেকের চোখে পড়লেও মাদকসেবীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না।

এরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন এবং শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে লিখিত এবং মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন জানিয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ করেছেন যে, অনেকদিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক এলাকার ভেতরের পরিত্যক্ত ভবন এবং হাসপাতালের মসজিদ কোয়ার্টারে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক রুবেল মিয়াসহ আশপাশের বহিরাগত লোকজন ঢুকে মাদক সেবন করছেন। কিন্তু আমি সরাসরি দেখিনি। এরপরও লোকমুখে শুনার পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালে মাদকসেবীদের আনাগোনা বন্ধ এবং চুরি রোধ করতে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে একাধিকবার এ বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। চলতি বছরের গত ২২ জুলাই চিঠির মাধ্যমে হাসপাতালে বিশেষ পুলিশ টহল প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্রীমঙ্গল থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায়কে এবং মৌলভীবাজার সিভিল সার্জনকেও অবগত করেছি।

তিনি জানান, অ্যাম্বুলেন্সচালক রুবেলের বিষয়ে এমনও অভিযোগ পেয়েছি যে, সে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে মাদক কার্যক্রম চালিয়েছে। করোনাকালে অ্যাম্বুলেন্স চালককে মাদকের অপরাধে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ আটকও করে। পরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তিনি দোষী প্রমাণিত হন। এ সময় মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

শ্রীমঙ্গল থানার ওসি বিনয় ভূষন রায় বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পেয়েছি। এরপর থেকে মাদকসেবীদের গ্রেপ্তার এবং চুরি রোধে থানার পক্ষ থেকে বিশেষ পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।