টুডে সিলেট ডেস্ক :: সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূইয়া বলেছেন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ অঞ্চলের একমাত্র বিশেষাষিত হাসপাতাল। সিলেট বিভাগের সীমানা ছাড়িয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন। সক্ষমতার ৫ গুণ রোগী থাকলেও ডাক্তার, নার্সসহ সকলের সহযোগিতায় চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের আশাভরসার স্থান এ হাসপাতাল সুন্দরভাবে পরিচালনায় নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী থাকায় এবং তাদের সাথে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে নানাধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়া দর্শনার্থীর ছদ্মবেশে বিভিন্ন সময় হাসপাতালে দালাল এবং চোরেরা ঢুকে পড়ে। ফলে দর্শনার্থী সীমাবদ্ধ অর্থাৎ এক রোগীর সাথে এক দর্শনার্থী আসলে চিকিৎসাসেবা খুব বেশি বিঘ্ন ঘটবে না।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুথানের পর নানা ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। অনেকেই নানা ধরণের সুবিধা কিংবা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন, যা সুষ্ঠু চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের অন্তরায়।
তিনি আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে হাসপাতাল এলাকায় নজরদারির আহবান জানিয়ে বলেন, এতে করে হাসপাতালে কেউ কোনো ধরণের দৌরাত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।
শনিবার দুপুরে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার সাথে বৈঠকে তিনি এ আহবান জানান। তিনি বলেন, অনেকেই ছাত্র-জনতার নাম করে হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা করার পাঁয়তারা করছে। আমরা সবাইকে চিনি না। তাই আন্দোলনকারীরা নির্দ্দিষ্ট প্রতিনিধি দিলে রোগী সেবা কার্যক্রমের কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।
এ সময় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মাহবুবুর রহমান ভূইয়া বলেন, হাসপাতালের ভেতরে ৫টি অ্যাম্বুলেন্স রাখার নির্দেশনা দিলেও তা অমান্য করে চলছেন চালকরা। বিষয়টি নিয়ে ছাত্র জনতার কাজ করার আহবান জানান তিনি।
এ সময় বৈঠকে অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আবু ছালেক মো. নাসিম, মো. জহিরুল ইসলাম, মো, রিয়াজ হোসেন, দেলোয়ার শিশিরসহ সকলেই হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সহযোগিতার আশ্বাস দেন। যাতে দেড় কোটি মানুষের চিকিৎসাসেবার প্রধানকন্দ্রে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রমে কোনো ধরণের ব্যঘাত না ঘটে।
বৈঠকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তারের পাঁয়তারা করছে। এতে করে স্বাস্থ্যসেবায় বিঘ্ন ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।